Powered By Blogger
বইমেলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বইমেলা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

মা লেখক আর ছেলে প্রকাশক হলে..

বাঙলাদেশে মা লেখক আর ছেলে প্রকাশক হলে ফেব্রুয়ারিতে তাদের সম্পর্ক অনেকটা টম এন্ড জেরি টাইপের হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে আমার ক্ষেত্রে অন্তত এমনটা হচ্ছে। এবারও মায়ের গ্রন্থিত ‘হাতের লেখা সুন্দর করি’- এর প্রথম দফায় ছাপানো সবগুলো কপি অমর একুশে বইমেলা’১৭-তে নেয়ার মাত্র সাত দিনের মধ্যেই শেষ। পুনরায় ছাপানো হয়ে গেলেও শুধুমাত্র বাঁধাইকারীদের অসহযোগিতার (মূলত ঘাড়-ত্যাড়ামির) কারণে বইটি আজ আর মেলায়/মার্কেটে নাই। তাই মায়ের বকা/হা-পিত্যেশ এড়াতে এ বেলা আর মেলামুখো হচ্ছি না। তার - মানে সাফিয়া খন্দকার রেখাপাখিদের পাঠশালা -এর প্রথম, ভূত যখন বন্ধু -এর দ্বিতীয় এবঙ স্বল্প গল্প -এর তৃতীয় সংস্করণও ফুরালো বলে। আরো যাদের যেসব বই এখনো মেলায় আনতে পারিনি, তাদের নাম তালিকা পরে জানাচ্ছি।

১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

গাধার গয়না বিক্রির হালত

অনলাইনে/ফেসবুকে যে হারে ‘গাধার গয়না’-র ফরমায়েশ এসেছিলো অফলাইনে/বইমেলায় সে হারে বিক্রি হয়নি। অনলাইন ও অফলাইন বিক্রির চালচিত্রকে পরস্পরবিরোধীও বলা চলে। গত ডিসেম্বরের শেষ দিনে প্রকাশিত এ বইটি পরবর্তী ১৫ দিনে মোট ৮৩ জন পাঠক অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বা অফিসে বসেই সংগ্রহ করেছেন। আর ২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম ১৭ দিনে সর্বসাকূল্যে ৩৩/৩৪ জন এটি কিনেছেন। সময়রেখায় রয়ে যাবে এই পরিসংখ্যান; তাই টুকে রাখলাম। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের র‍্যামন পাবলিশার্সে (স্টল নম্বর ৪২৭-৪২৮) মিলছে গাধার গয়না। একইসঙ্গে বইটি পাওয়া যাচ্ছে বাংলা একাডেমি অংশের লিটলম্যাগ চত্ত্বরের প্রান্তস্বর-এ (স্টল নম্বর ৬০)। এছাড়া সেখানে মিলছে ভাবনাংশ
সংবাদচিত্র:
বই মেলায় ঈয়নের ‘গাধার গয়না’ (জাগো নিউজ)
ঈয়নের ‘গাধার গয়না’ (প্রিয় ডটকম)
বইমেলায় ঈয়নের ‘গাধার গয়না’ (নিউজনেক্সটবিডি)

২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

পুলিশ ছাড়া কেউ থাকবে না ...

লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড
‘বইমেলায় মানুষ নাই -
খালি পুলিশ আর পুলিশ’
- অমর একুশে বইমেলায় অবস্থানরত এক কবিবন্ধু মাত্রই বললেন, মুঠোফোনালাপে। তল্লাশীর অতিরিক্ততায় বিরক্ত অনেকে মেলায় না ঢুকেই চলে যাচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করলেন। আরেক অনুজ সাংবাদিকের অভিমত, ‘লেখক হত্যা আর প্রকাশক গ্রেফতারের বইমেলা আজ দৃশ্যতই নিরাপত্তার খোলসে বন্দী।’
মূহুর্তে মনে পরে যায় গত সন্ধ্যায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের মুখে শোনা কথাগুলো। তিনি অত্যন্ত বিনয় নিয়ে আমাদের বলেছিলেন, ‘আপনারা চলে যান। একটু পরই পুরো এলাকা পুলিশে পুলিশারণ্য হয়ে যাবে। আজ এখানে পুলিশ ছাড়া কেউ থাকবে না।’ অথচ বছরের পর বছর ধরে প্রতিটি ২০ ফেব্রুয়ারির বা মহান একুশের রাত আমরা - সমমনা বন্ধুরা টিএসসি এবঙ আশেপাশের এলাকায় কাটিয়েছি। গান, আড্ডা, শ্লোগান আর মানুষের দৃপ্ত মুখর থেকেছে পুরো এলাকা। এমনকী সেটা পাকিস্তানি ভাবাদর্শের ডানমনা (বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন) সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেও। এরপর সকালে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে, সারাদিন মেলায় কাটিয়ে রাতে বাসায় ফিরেছি। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি - সে সাধ একদমই মিইয়ে দিলো।
পুলিশের সাথে তর্ক করতে ইচ্ছে হলো না। কারণ জানি সে রাষ্ট্রীয় নির্দেশের দাস মাত্র। অর্থাৎ এখন রাষ্ট্রই চাচ্ছে না একুশের রাতটা আমরা এভাবে উদযাপন করি। জানি না রাষ্ট্রের পরিচালকরা ভুলে গিয়েছেন কী’না, একুশ কেবলই আনুষ্ঠানিকতার বিষয় না। এর সঙ্গেই আছে জড়িয়ে আছে এ জাতির, মানে বাঙালের জাতীয়তা বোধের চেতনা।
বাসায় ফিরতে ফিরতে খুব মনে পরছিলো - শৈশবে কাদামাটি বা ইট, কাঠ দিয়ে গড়া শহীদ মিনার, আলপনা আঁকা, ফুল চুরি, খালি পায়ে ছুটোছুটি - আরো কত কী। শুধু বার বার ভুলতে চেয়েছি, এখন এ দেশ চালাচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘অফিসিয়ালি’ নেতৃত্বদানকারী দলটিই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই দল আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন ভাবাদর্শের ‘পারপাস সার্ভ’ করছে তা সত্যি, একদমই ভাবতে চাইনি। কারণ আজকাল ভাবতেও ভয় লাগে।
newsreel [সংবাদচিত্র]