Powered By Blogger
ধর্মীয় মূল্যবোধ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ধর্মীয় মূল্যবোধ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

০২ অক্টোবর ২০১৭

ধর্মের কল নড়ে রাষ্ট্রের বাতাসে..

ফাইল ফটো
বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান বলছে, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।’ সম্প্রতি এ নিয়ে কথা হচ্ছিলো তরুণ ভাষ্কর, চিন্তক ও গবেষক গোঁসাই পাহলভীর সাথে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, ‘এই যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম; এটা শিয়া, সুন্নি, নাকি অন্য কোনো ইসলাম?’ বেশ মনে ধরেছিলো তার এ জিজ্ঞাসা। আজকের প্রেক্ষাপটে যা খুবই প্রাসঙ্গিক। রাষ্ট্রীয় ইসলাম সুন্নি হলেও প্রশ্ন থেকে যায়। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র হানাফি, মালেকি, শাফি না হানবালি মাজাহাব মানবে? আবার শিয়া হলে ইসমাইলি, জাফরি না জায়েদি? নাকি বাঙালের এই জাতিরাষ্ট্র ওহাবি-সালাফি বা খারেজিপন্থী ইবাদি মতাদর্শ মানবে?

প্রায় এক দশক ধরে উৎসবের রাত মানে জনশূণ্য রাজপথে র‌্যাব-পুলিশ-গোয়েন্দা আর গণমাধ্যম কর্মিদের টহল। নানা জুজুর ভয়ে একই দৃশ্যের পুনুরাবৃত্তি ঘটছে বার বার। ক্রমশ গুটিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। বঙ্গবাসীর এই পশ্চাতযাত্রার শুরু হয়েছিলো বহু বছর আগে, সেই ১৯৪৭ সালেই। তবে দৃশ্যত ২০০৭ সালের এক-এগারোর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এর গতি বেড়ে গেছে বহুগুণ । যার আগে পরে দেশে উত্থান ঘটেছে অজস্র প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির। জনমনে সঞ্চারিত হয়েছে বিচিত্র সব ভয়।

‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ রাষ্ট্রের জারি করা ফরমানে পশ্চিম থেকে ধার করা থার্টিফাস্ট ডিসেম্বর শুধু নয়, একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখের মতো দেশীয় উৎসবগুলোও প্রাণহীন হয়েছে এক সময়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর থেকে তাজিয়া মিছিলের ঐতিহ্য হরণে উদ্যোগী হয়েছে রাষ্ট্র। ইতিপূর্বে জঙ্গি-হামলারও শিকার হয়েছিলো শিয়া মুসলিমদের এ উৎসব। সেবার (২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর) মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলায় দুজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়। যে ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি এখনো।

অথচ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এবারও (বৃহস্পতিবার) বললেন, “আশুরা উপলক্ষে মোহাররমের মিছিলে সকল প্রকার ধাতব বস্তু বহন, জিঞ্জির, দা-ছুরি-তলোয়ার, ঢোল-লাঠিখেলা এবং আগুন খেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা মিছিলে অংশ নেবেন, তারা মিছিলের শুরুর স্থানে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির পর অংশ নেবেন। পথের মাঝখান থেকে কেউ মিছিলে যোগ দিতে পারবেন না।”

গত বছর পুলিশের নিষেধ না মেনে ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাজিয়া মিছিলে আসায় ১৪ জন 'পাইক'কে আটক করেছিলো পুলিশ। শিয়াদের এই মিছিলে ‘হায় হোসেন’ মাতম তুলে যারা দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি নিয়ে নিজেদের শরীর রক্তাক্ত করে, স্থানীয়ভাবে তাদের ‘পাইক’ বলা হয়। এরা আশুরা উৎসবের শত শত বছরের অনুসঙ্গ। ঢাকায় তাজিয়া মিছিল শুরুর সঠিক ইতিহাস না পাওয়া গেলেও মনে করা হয়, ১৬৪২ সালে সুলতান সুজার শাসনামলে মীর মুরাদ হোসেনী দালান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই শোক উৎসবের সূচনা করেন।

‘তাজিয়া’ শব্দটি আরবী হলেও উর্দু ও ফার্সী ভাষায়ও এটি ব্যবহার করা হয়। এর সাধারণ অর্থ শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা। মহররমের দশম দিনে ইমাম হোসেন (রা.) [ইসলাম প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র]-এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে শিয়ারা যে মিছিল করেন, সেটাই হচ্ছে তাজিয়া মিছিল। মূলত হোসেনি দালান থেকেই সবচেয়ে বড় তাজিয়া মিছিল বের হয়। এক কালে পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জের বিবিকা রওজা (১৬০০ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত সবচেয়ে পুরনো ইমামবাড়া), পুরানা পল্টন, মগবাজার, মোহাম্মদপুর এবং মিরপুর থেকেও তাজিয়া মিছিল বের হতো। তখন হিজরী মহররম মাসের শুরু থেকে আশুরার দিন পর্যন্ত চলত শোক উৎসব। এতে সুন্নী মুসলমানরাও যোগ দিতেন।

হিন্দু ধর্মালম্বীদের দূর্গা পূজা উৎসব শেষ হওয়ার ঠিক পরদিনই (রবিবার) আশুরা এবার। মুসলমানদের জন্য দিনটি মূলত শোকের। এদিন মুহাম্মদ (সা:)-এর দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী নির্মমভাবে শহীদ হন। ইসলামের ইতিহাসে অবশ্য দিনটি আরো নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিশ্বাস, “এই ১০ মুহররম তারিখে আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। একই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ:) কে সৃষ্টি করা হয়। এই দিনে আল্লাহ নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেন। এই দিন নবী মুসা (আ:)-এর শত্রু ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। একই দিনে নূহ (আ:)-এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পায় এবং তিনি জুডি পর্বতশৃংগে নোঙ্গর ফেলেন। এই দিনে দাউদ (আ:)-এর তাওবা কবুল হয়, এমনকি একই দিনে ইব্রাহীম (আ:) কে নমরূদের অগ্নিকুণ্ড থেকে উদ্ধার করা হয়; আইয়ুব (আ:) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেন। এই দিনেই আল্লাহ ঈসা (আ:)-কে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নেন।” এছাড়া হাদিস মতে এই তারিখেই কেয়ামত সংঘটিত হবে।

আজ দশমী, তথা শুভ বিজয়ার সকালেও খবরের কাগজে সংখ্যালঘু পীড়নের সংবাদ পড়ে দিন শুরু করলাম। অষ্টমীর রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরতলীর শিবপাশা এলাকার প্রয়াত ডা. বিহারী বাবুর বাড়ির সবাই গিয়েছিলেন পূজো দেখতে। তারা ফিরে এসে দেখলেন ঘরে আগুন জ্বলছে। ঘরের ভিতরে থাকা স্বর্ণালংকার, দলিল পত্রাদি ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। এবারের পূজোর মৌসুমে বাঙালী মুসলমানেরা মোট কতগুলো প্রতিমা ভেঙেছেন, সেই ফিরিস্তি এখানে নাই-বা দিলাম। তবে আজ বলতে চাই, আমাদের রাষ্ট্র এখনো ধর্ম পালনে সকলের ‘সমমর্যাদা ও সমঅধিকার’ নিশ্চিত করতে পারেনি। যদিও আমি বুঝিনা, একটি ধর্মকে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ আখ্যা দিয়ে সকল ধর্মকে একই মর্যাদা দেয়া যায় কিভাবে! আবার মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার কথাও বলা হচ্ছে! রাষ্ট্রের ধার্মিক হওয়ার বিধানটি কি তবে সংবিধানের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক নয়?

বাংলাদেশের প্রথম, অর্থাৎ ১৯৭২ সালের সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির-রহমানির রহিম' (দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে/পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে) লেখা ছিলো না। ছিলো না কোনো রাষ্ট্রধর্মের বিধানও৷ ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করা হয়৷ আর ১৯৮৮ সালে সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদের সময় সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযুক্ত হয়৷ পরবর্তীতে উচ্চ-আদালত ওই সংশোধনী দুটো বাতিল করলেও ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এই দুটি জায়গা অপরিবর্তিত রাখে আইনসভা।

প্রথম প্রকাশঃ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

০১ অক্টোবর ২০১৭

সন্দেহপ্রবণ, বাঙালী মুসলমানের মন!

ক্যাপশন যোগ করুন
০১.
‘আপনি মুসলমানের ছেলে, আপনার কাছে শিবলিঙ্গ কেন?’ মিরপুরের মাযার রোড সংলগ্ন এলাকায় বসে জানতে চেয়েছিলেন দারুস সালাম থানার এক পুলিশ সদস্য। তাকে সমর্থণ করে আমায় জেরা করেছিলেন তার দুই সহকর্মিও। নাটোর থেকে ঢাকা ফেরার সময় গত ২২ জুলাই সকালে এ ঘটনার মুখোমুখি হই। শিবলিঙ্গটি সাধারণ নয়, কষ্টি পাথরে তৈরী আর আমি পাচারকারী এমন দাবিও তোলে পুলিশ। যিনি আমাকে এটি উপহার দিয়েছেন তার সাথে ফোনালাপের পর তারা নিশ্চিত হন, এটি চেন্নাইয়ে এক মন্দিরের সামনে থেকে সামান্য পয়সায় কেনা হয়েছে। তবুও তাদের প্রশ্নের শেষ নেই। ঘুরে ফিরে বার বার একই কথা, ‘আপনি মুসলমান। আপনার সাথে হিন্দু দেবতার লিঙ্গ থাকবে কেন?’

০২.
‘আপনি মুসলমানের মেয়ে, আপনার কাছে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি কেন?’ - কিছুক্ষণ আগে হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয়, তথা ডোমেস্টিক টার্মিনালে রাজশাহীগামী এক নারী যাত্রীকে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এবারও প্রশ্নকর্তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য; কাস্টমস বা পুলিশের। যাত্রীর সাথে থাকা প্রতিমাটি পাথরেরও নয়, পিতলের। এক্ষেত্রে তাকে কষ্টি পাথর পাচারকারী সন্দেহেরও কোনো কারণ নেই। মূলত তাদের মূখ্য প্রশ্ন, ‘মুসলমান মেয়ের সাথে হিন্দু দেবদেবী থাকবে কেন?’ এমনটা তারা কখনো দেখেননি বলেও জানান।

প্রথম ঘটনাটি প্রায় ভুলে-ই গিয়েছিলাম। মূলত আজকের কাণ্ড এর অতীত পরম্পরা স্মরণ করিয়ে দিলো। যে কারণে গল্প দুটি টুকে রাখাও জরুরী মনে হলো। অন্য ধর্ম নিয়ে বেশী ঘাঁটাঘাঁটি করা যাবে না, এই ফতোয়া কিভাবে জানি জারি রয়েছে বাঙালি মুসলমানের মননে। ধর্মকে জন্মসূত্রে না পেয়ে জ্ঞানসূত্রে পেলে সম্ভবত দর্শনের এহেন দৈন্যতা পয়দা হতো না। তারা মানতে পারে না যে কেউ বলতে-ই পারে, ‘মা যে আমার ফাতেমা / আমার-ই মা শ্রীকালী’।...

প্রথম প্রকাশঃ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

০৮ জুন ২০১৭

খ্রিষ্টীয় মতে মহানবীর ওফাত দিবস আজ

মসজিদে নববী
খ্রিষ্টীয় পঞ্জিকা মতে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) -এর ওফাত দিবস আজ। তিনি ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুন (১১ হিজরী সালের ১২ রবিউল আউয়াল) সন্ধ্যায় বর্তমান সৌদি আরবের মদিনায় নিজ স্ত্রী আয়েশার ঘরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানাযার পর সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে উমাইয়া খলিফা প্রথম ওয়ালিদের আমলে মসজিদে নববীকে সম্প্রসারণ কালে মুহাম্মদ (স.)’র রওজাটিও সম্প্রসারিত এলাকার ভেতরে নিয়ে নেয়া হয়।
মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্ম গ্রহণকারী মহানবী (স.) প্রচলিত ধারণা মতে, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগষ্ট আরবি রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ জন্মেছেন। প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা মন্টগোমারি ওয়াট তার পুস্তকে এই সালের উল্লেখ করেছেন; তবে প্রকৃত তারিখ উদঘাটন সম্ভবপর হয়নি বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুহম্মদ (স.) নিজে কোনো মন্তব্য করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত এ কারণেই তারিখটি নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ রয়ে গেছে। যেমন সাইয়েদ সোলাইমান নদভী, সালমান মনসুরপুরী এবং মোহাম্মদ পাশা ফালাকির গবেষণায় এটি ছিলো ৫৭১ সালের এপ্রিল ২৬ হবে বা ৯ রবিউল আওয়াল। তবে তার জন্মের বছরেই হস্তী যুদ্ধের ঘটনা ঘটে এবং সে সময় সম্রাট নরশেরওয়ার সিংহাসনে আরোহনের ৪০ বছর পূর্তি ছিল এ নিয়ে কারো মাঝে দ্বিমত নেই।
মোহাম্মদ, মুহম্মদ বা মুহাম্মেদ পরিচিত মহানবী (স.)-এর পূর্ণাঙ্গ নাম আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআব্দ আল্লাহ ইবনে ʿআব্দ আল-মুত্তালিব ইবনে হাশিম। তিনি ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। মুসলিম বিশ্বাসমতে তিনি আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ নবী। যার উপর ইসলামী ধর্মগ্রন্থ ‘আল-কুরআন’ অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক।
রওজা
উইকিপিডিয়া বলছে, ‘অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে মুহাম্মাদ (স.) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য। বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা।’

আরো পড়ুন :
স্মরণে আজ আলীর শাহাদাত

২৯ এপ্রিল ২০১৭

অক্ষয় তৃতীয়ার মাজেজা

কুঠার হাতে পরশুরাম
আজ পবিত্র অক্ষয় তৃতীয়া। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে এ খবর এতক্ষণে জেনে গেছেন অনেকে। এ নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখায় অজস্র পাঠকের মন্তব্য পড়ে বুঝলাম তারা এ তিথি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে অনেকেই কৌতূহলী; মানে আগ্রহী দিনটির মাজেজা জানতে। অক্ষয় শব্দের অর্থ হচ্ছে - ‘যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না’। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে।

অক্ষয় তৃতীয়া হচ্ছে চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লাতৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি।এই দিনে জন্ম নিয়েছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম। বেদব্যাস ও গণেশ এই দিনে মহাভারত রচনা শুরু করেন।এদিনই সত্য যুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়। রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন এদিন। এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। একই তিথিতে দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে দ্বারকায় গিয়ে শ্রী কৃষ্ণের সাথে দেখা করেন ভক্তরাজ সুদামা। এদিনই দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে গেলে তাকেও রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ।

আজও কেদার-বদ্রী-গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিলো। এদিন থেকেই পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণ শুরু হয়। এছাড়া বর্তমানে এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। ভাবা হয়, এই শুভ দিনে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভ যোগ হবে। সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধির আশাতেই অনেকেই কিছু না কিছু কিনে থাকেন।

শাস্ত্রমতে এদিন যদি ভালো কাজ করা হলে অক্ষয় পূণ্য লাভ হয় আর যদি খারাপ কাজ করা হলে হয় অক্ষয় পাপ। তাই এদিন খুব সাবধানে প্রতিটি কাজ করা উচিত। খুব খেয়াল রাখা উচিত যাতে ভুলেও যেন কোনো খারাপ কাজ হয়ে না যায়। 

ধ্যানী
মুখ থেকে কটু কথা না বের হওয়ার ভয়ে বিশ্বাসীদের অনেকে এদিন যথাসম্ভব মৌন থাকেন। এই তিথিতে তারা এমন কোনো কাজ করেন না যা কারো ক্ষতি করে বা মনে আঘাত দেয়। তারা মনে করেন, যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সতর্কভাবে। এদিনটা ভালোভাবে কাটানোর অর্থ সাধনজগতের অনেকটা পথ একদিনে চলে ফেলা। 

এবারের অক্ষয় তৃতীয়া সবার ভালো কাটুক – এই কামনায় শেষ করছি। আমিন।

চিন্তা ও চিত্রসূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও উইকিপিডিয়া। 

১৬ এপ্রিল ২০১৫

বর্ষবরণে বস্ত্রহরণ কী পরিকল্পিত!

 Women in Bangladesh
© eon's photography / pap
বঙ্গাব্দ বরণ, তথা বাংলা নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি চত্ত্বর সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারীদের বস্ত্রহরণ ও শ্লীলতাহানির যে ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে কুয়েত প্রবাসী আবু আশরাফ কাজী বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ - এটা আল্লাহর পক্ক (পক্ষ) হতে।’ চট্টগ্রামে বসবাসকারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সালমান আব্দুল্লাহ আরো এক কাঠি সরেস। তার মন্তব্য, ‘এটাই চাইছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাদেরকে আরো লাঞ্ছিত হওয়ার তাওফিক দিন।’ সৌদি প্রবাসী আবু ইউসুফ বলেছেন, ‘যারা এই কাজটি করেছে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। এই মেয়েদের এটাই পাওনা ছিলো!’ দিনাজপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ মিজান মনে করে, ‘নিজেকে ভোগের পন্যের মত উপস্থাপন করলে - শ্লীলতাহানী হতেই পারে।’ আর বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এর ইলেট্রিসিয়ান রাইহান হোসাইন -এর অভিমত আরো ভয়ংকর। তার বক্তব্য, ‘চুদে ফাটিয়ে দেয়া উচিত।’ কী, আঁতকে উঠলেন। ওঠারই কথা। পহেলা বৈশাখের অমন পৈশাচিক ঘটনাকে আল্লাহর নেয়ামত মনে করে উল্লাসিত হওয়া অজস্র মানুষ স্বজাতি জেনে আমিও আতঙ্কিত।

আমার দেশ অনলাইনের ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া স্ক্রিনসট
জ্ঞানসূত্রে নয়, জন্মসূত্রে পাওয়া ইসলামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বা উগ্র ধর্মান্ধ এই গোষ্ঠী নারীকে আজও পর্দাবন্দী দেখতে চায়। তাদের দৃষ্টিতে নববর্ষ উদযাপনও ধর্মবিরোধী। যে কারণে বস্ত্রহরণ ও শ্লীলতাহানির পক্ষে সাফাই গেয়ে আর উল্লাস করেই তারা ক্ষান্ত নন। লাঞ্চিতদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সেদিনের দলবদ্ধ যৌন সন্ত্রাসীদের বাহবা দিতেও তারা সরব। তাদের মতে, বঙ্গাব্দ বরণকারী পুরুষদের হত্যা বা নারীদের বিধর্মী জ্ঞানে ‘গণিমতের মাল’হিসেবে গণ্য করা জায়েজ। একই চেতনায় ২০০১ সালে ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা করে হত্যা করা হয়েছিলো ১০ জনকে। যে কারণে এবারও যে ঘটনা ঘটেছে - সেটা কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ কি’না - তা অবশ্যই ভাবা উচিত । একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, বেশ ক’দিন আগে থেকেই বর্ষবরণ উদযাপন ইসলাম বিরোধী বলে অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা চালিয়ে আসছে এই গোষ্ঠী। এরই ধারাবাহিকতায় ‘অপারেশন ভুভুজেলা’ চালানো হয়েছে কি’না - তা’ও খতিয়ে দেখা দরকার।
আরো একটি স্ক্রিনসট
নানা ঘটনায় আলোচিত গণমাধ্যম আমার দেশ অনলাইন - বিশেষ গোষ্ঠীটির অলিখিত মুখপাত্র হয়ে উঠেছে। তাদের ফেসবুক পেইজে আলোচ্য ঘটনার সংবাদ সংযোগে উল্লেখিত মন্তব্যগুলো লিখেছেন সংশ্লিষ্টরা।  আরো শত শত অমন মন্তব্য রয়েছে সেখানে।  এর মধ্যে রিসান এম তারেক  আলোচ্য ঘটনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার মন্তব্য ছিলো - ‘থ্যাংকস ভাই খবরটা দেয়ার জন্য। ঘটনার বাস্তব সাক্ষী আমি।’ হে মহান পুলিশ ভাইয়েরা, আপনাদের জন্য অন্তত একজন সাক্ষীর সন্ধান রেখে গেলাম। এখানে আরো কতিপয় মন্তব্য উল্লেখ করছি -

রাজশাহী কলেজের ছাত্র তানভীর কবির বলেছেন, ‘হে জাতি শুনে রাখ, এটা ইসলাম থেকে দূরে যাওয়ার ফল।’ ইতালী প্রবাসী আনোয়ার হোসেইন লালন এর মন্তব্য, ‘আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন এসব আকাম কুকাম করতে। তোমরা নারীরা যখন শুনবে না, কি আর করার। যাও - ঘরের বাহিরে যাও ছেলে বন্দুদের (বন্ধুদের) সাথে আনন্দ করো, কাদঁছ কেন এখন?’ চট্টগ্রামের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র শফিকুল ইসলাম স্বপন বলেছেন, ‘করবে না কেন? ঢলা খাওয়ার জন্যই যায়, ঢলা দিয়ে দিছে - এতে তো খুশী হবার কথা। এদের লজ্জা কোনোদিন হবে না। আবার দেখবেন আগাম বছর ঐ মেয়েগুলোই নববর্ষ পালন করতে যাবে। আমার মনে হয় উচিত প্রাপ্য পাইছে।’

বর্ষবরণ উদযাপন ইসলাম বিরোধী বলে প্রচারে যা বলা হচ্ছে ...
শিশির ভেজা রাজকন্যা নামের একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘বেশি বাঙ্গালীয়ানা ফলাতে গেলে এটাই হয়।’ আরব আমিরাত প্রবাসী মহিম উদ্দিন লিখেছেন, ‘এরই নাম বৈশাখী পূজা।’ ময়মনসিংহের সরকারি চাকুরে মাহমুদুল হাসান রাসেল লিখেছেন, ‘এই তো পয়েলা বৈশাখ পালনের মর্মকথা বেরিয়ে আসছে।’ চট্টগ্রামের মো. তোহা -এর দাবি, ‘কিছু মনে করার কি আছে? অসাম্প্রদায়িক এবং বাঙ্গালী চেতনায় অতি অনুপ্রাণিত হলে, মাঝে মধ্যে এরকম হতেই পারে, চেতনা বলে কথা!’ যশোরের আব্দুল জলিল লিখেছেন, ‘এই দেশে ইসলামিক আইন চালু হলে এই সব অপকালচার থাকবে না ইনশাআল্লাহ।’ এমন মন্তব্য আরো অজস্র রয়েছে। ঢাকা সিটি কলেজের সাবেক ছাত্র নাইম আহমেদ লিখেছেন, ‘ইসলামের বাইরে গেলে এমনি হবে। এত কেবল শুরু।’ সিঙ্গাপুর প্রবাসী নজরুল নাজির -এর মন্তব্য, ‘যেমন কর্ম তেমন ফল। মাগিরা বর্ষবরণ চোদায়।’ চট্টগ্রামের মনুয়ার আল ইসলাম বলেছেন, ‘তথাক‌থিত সু‌শীল সমাজ বাংলা সংস্কৃ‌তির না‌মে যারা বাংলা নবর্বষ‌কে যারা বেহায়াপনায় রুপ (রূপ) দি‌য়ে‌ছে - তা‌দের মা-বোন‌কে রাস্তায় এনে এভা‌বে উলঙ্গ করা দরকার।’
এখানে একটু বলে রাখি, এই দেশে এমন ঘটনার সামাজিক প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে, তা বোধকরি সহজেই অনুমেয়। কারণ এর উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে। ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতের সেই বাঁধন ট্রাজেডি অনেকেরই মনে আছে আশাকরি। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনেই তার শ্লীলতাহানি হয়েছিলো। সেই ঘটনার পর থেকে খ্রীস্টাব্দ উদযাপনে যে কড়াকড়ি আরোপ হয়েছে তা আজও শিথিল হয়নি। প্রতিটি ৩১ ডিসেম্বরের রাতে রাজধানী ঢাকা হয়ে যায় পুলিশী চেকপোষ্টের নগরী। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে তাদের প্রধান দূর্গ।  রাষ্ট্রের মতো কড়া হতে বাধ্য হয়েছে প্রতিটি পরিবারও।
এদিকে এবারের ঘটনাটিকে ইসলামের আদেশ না মানার কুফল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ওই গোষ্ঠী লাঞ্চিত নারীদের যাচ্ছে তা বলতেও কুণ্ঠিত হচ্ছেন না । রংপুরের রেজাউল করিম রাজ লিখেছেন, ‘নারীরা যেদিন ন্যাংটা হয়ে বেরাতে পারবে সেদিন তারা বলবে যে তারা স্বাধীন।’ আরব আমিরাত প্রবাসী মোঃ জসিম উদ্দিন লিখেছেন, ‘এইটাকে বলে নারীর সাধীনতা (স্বাধীনতা)। নারী পুরুষ এক সাথে বেহায়াপনার নাম জদি (যদি) হয় নারীর সমান অধিকার, আমার বলার কিছুই নাই। এর জন্য দাই (দায়ী) আমাদের দেশের শাসক গুষ্ঠী (গোষ্ঠী)। আমরা কিসের মুসলমান, সেরেপ (স্রেফ) নামের মুসলমান।’ সিলেটের মোঃ সুমন আহমেদ -এর অভিমত, ‘এই সব যারা পালন করে তারা আর যাই হোক কোন (কোনো) ভাল ঘরের মেয়ে নয়।’
সোনাগাজীর এম এ নুরুল হুদা  -এর বক্তব্য, ‘ছেলেগুলাতো না হ্য় কুকুর, কিন্তু যে মেয়েগুলা বুকের মাংস পুলাইয়া (ফুলিয়ে) এসব নোংরামি করার জন্য বের হ্য়, তখন তাদের মায়েরা কোথায় থাকে? এই সব বাজে মেয়েরা হ্চ্ছ ওই কুকুরগুলার খাদ্য এখানে দোসের (দোষের) কিছু নেইভবিষ্যতে আরো বেশি করা দরকার ।’ ঢাকার মিরপুরের মাদ্রাসা শিক্ষক শারফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী লিখেছেন – ‘যে নারী গিয়েছে আর যে বখাটেরা যা করেছে, এতে আশ্চর্য হবার কি!? উভয় লিঙ্গ একই চরিত্রের। নগ্নতা, বেহায়াপনার কালচার গ্রহণ করলে এমনই দৃশ্য বার বার আসবে।’ সিলেটের সৈয়দ চালিক আহমেদ গুলশান বলেছেন, ‘যে নারী , পরপুরুষকে দেখানোর জন্য সেজে গুছে বের হয় ! তাদের জন্য এটাই পাওনা ! যেমন কর্ম তেমন ফল !!’
ফতুল্লার ফেরদৌস রহমান রাসেল -এর বক্তব্য, ‘নাস্তিকরা যে ভাবে দেশটাকে পাপে লিপ্ত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাতে এমন হওয়ারই কথা! কারন সরকার ওয়াজ মাফিল বন্ধ করে, আর নাচ গানে মগ্ন রাখার চেষ্টা করে সব সুবিধা দিয়ে!’ নোয়াখালীর  শামীম হোসাইন লিখেছেন - ‘আজ ৪/৫ বতসর (বছর) ঢ়াকা বিশ্ববিদ্যালয় টি এস ছি (টিএসসি) যৌন পললিতে (যৌনপল্লীতে) রূপান্তরিত হয়।’ হা-মীম এসোসিয়েটস’র ডিরেক্টর (ফিন্যান্স)  মুঃ মোরশদ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘এই কানকি গুলা (খানকিগুলো) ওখানে যাইতো (যায়ই’তো) লেংটা হওয়ার জন্য।’ মাদারীপুরের সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের ছাত্রী সেঁজুতি লিমা -এর বক্তব্য, ‘শিয়াল কুকুরদের মাঝে গেলে যা হয় তাই হয়েছে। দোষের কি আছে? জাতির কাছে প্রশ্ন।’
এসব মন্তব্যে বাঙাল বোধের যে চিত্র স্পষ্ট, তা পীড়াদায়ক।
কী, ক্লান্ত হয়ে গেলেন। আরো পড়ুন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মর্ত মোহাম্মদ জাফর বলেছেন, ‘মহিলারা থাকে ভিতরে। বাহিরে গেলে এই রকম হয়।’পাকিস্তান প্রবাসী তাসনীম হাসান আমানী লিখেছেন, ‘এরপরও লজ্জাহীন নারীদের চেতনা আসবে না?’ কুয়েত প্রবাসী মাহবুব আলম লিখেছেন, ‘যে নারী পর পুরুষকে দেখানুর (দেখানোর) জন্য সেজে গুছে বের হয়! তাদের জন্য এটাই পাওনা! যেমন কর্ম তেমন ফল !!’ শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমাদ বলেছেন, ‘পাওয়ার জন্য গেছে. দেওয়ার যারা তারা দিছে। হারাম কাজ ত এইভাবে চলে।’ চট্টগ্রামের খান মো. জহির দাবি করেছেন, ‘যৌনকর্মীরা সবসময় সবখানে লাঞ্চিত অপমানিত অপদস্ত হবেই। যদি ইসলামের রীতিনীতি মেনে চলত তাহলে এসব ফালতু অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের দেহ প্রসারণ করে বিড়াম্বনার স্বীকার হত না।’
ঢাকার মালেক আফসারী বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখা উচিত যে-তা হলো মধু যদি ঢেকে রাখা না হয় তাতে মাছি বসবে এটাই সত্য । আর সোনার ছেলেরা তাতে একটু খুলে টেষ্ট করছে এতে আমি বরং সোনার ছেলেদের ধন্যবাদ জানাই, শেষ কথা আমাদের দেশের ঐ রকম মহিলাদের তাই হওয়া উচিত।’ মক্কা প্রবাসী  আতিক রাহমান বলেছেন, ‘ইসলামের মধ্যে নারী জাতিকে সব চাইতে বেশী সম্মান দিয়েছে, আর পুরুষ কে দিয়েছে স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীনতা যদি নারী জাতি টানা টানি করে তাহলে এর চাইতে বেশির চাইতে বেশি নির্যাতিত হবে। তাই আমাদের কে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে হবে। সেই অনুযায়ী চলতে হবে। মনে রাখবেন - জানা এবং মানার মধ্যেই সব কিছু ! আপনি না জেনে আমল করতে পারবেন না।’ রাজশাহীর দোগাছির মোঃ আয়াতুল্লাহ খামোনি বলেছেন, ‘কলা যদি ছিলা থাকে মাছি তো ধেন ধেন করবেই। যে অনুষ্ঠানে গেসে এটা তো simple (সাধারণ) ব্যাপার। যে নারী ইসলাম ধর্ম মেনে চলবে সে কখনো এই ভাবে যৌনহয়রানী হবে না।

বঙ্গাব্দ বরণ বিরোধী প্রচারণায় ব্যবহৃত ট্রল।
ওবায়েদ ইসলাম লিখেছেন, ‘নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক।  কোনো মেয়ের ইজ্জতের বিনিময়ে এই ১লা বৈশাখ আসার কোন দরকার ছিল।’  জিয়া উদ্দিন রাসেল এর অভিমত, ‘প্রকাশ্যে ধর্ষন করলেও অবাক হতাম না। এসব মেয়েদের এসবই প্রাপ্য। বি. ইউ. কোরশী  লিখেছেন, ‘ঘরের মেয়ে, রাস্তায় নামছে বলেই তো পরের ছেলে নষ্টামি করতে পারছে।’ মোঃ রুহুল লিখেছেন, ‘প্রগতি নারীবাদী বেশ্যারা কোথায়। এরা ইসলামের শত্রু মানবতার শত্রু।’
মঈন মুহম্মদ লিখেছেন, ‘এই গনমাধ্যমগুলা আসলেই বেরসিক। এইসব জশনে তো এমন ঘটনা ঘটবেই। আর এমন ঘটনা ঘটানোর জন্যই তো ঐসব মেয়েরা উপস্থিত হয়েছিল সেখানে। কই ঐসব মেয়েরা তো বলেনি আমাদের সাথে খুব খারাপ অনাকাক্ষিত কিছু ঘটেছে, তাইলে বেরসিক গনমাধ্যমের এত চুলকানি কেন?’ রেজাউল ইসলাম বলেছেন, ‘একেই বলে মুক্ত মনের মানুষ! মনের সাথে সাথে নিজের শরীরটাও উন্মুক্ত করে রাখল। নিজেকে খোলা মেলা রাখাটাই তাদের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলাটা তাদের ফ্যাশন।’

মোঃ শামীম আহমেদ
বলেছেন, শ্লীততাহানী বর্তমান সমাজের একটা ঐতিহ্য। মামুনুর রশীদ বলেছেন, ‘ভাল হইছে, যেন এই কথা মনে করে আর কোথাও যেন পর্দা ছাড়া না যায়।’ আবু বকর বলেন, ‘এরা কোন সভ্য ঘরের মেয়ে নয়, আর হয়রানি কারিরা তো তথাকথিত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত জানোয়ার। হাসিনার সোনার ছেলে।’

এক চুতিয়ার স্ট্যাটাস
আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘সবেতো শুরু, যেভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের কে গ্রাস করছে তাতে করে আর বেশিদিন এমন থাকবে না, এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটতে থাকবে। কোথায় আমাদের অতি পরহেজগার প্রধানমন্ত্রি, উনি কি বোঝেন কেন এগুলো হচ্ছে? যেখানে নাস্তিকদের পক্ষে কথা বলার লোকের অভাব হয়না, নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীর প্রকৃত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এমন নারীনেত্রীরা। সেখানে এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে মনে হয়, শুস্থ (সুস্থ) সাভাবিক জীবন ছেড়ে অস্বাভাবিক জীবনে চলে যায়, এই কুত্তাগুলোকে টুকরা টুকরা করে কাটি। আমারও একটি মেয়ে আছে, আজ যে মেয়েটির সাথে এমন আচরন করা হয়েছে, তার বাবা মার মনের অবস্থাটা কি একবার ভাবুন, এখনো সময় আছে সচেতন মানুষকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে। নইলে আমরা অচিরেই অন্ধকারে হারিয়ে যাব।’

আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘নগ্নতা, বেহায়াপনার কালচার গ্রহণ করলে এমনই দৃশ্য বার বার আসবে। ভারতকে খুশি করার জন্য এগুলো করা হয়েছে, এখন ভারত খুশি।’ খান মোঃ জিল্লুর বলেন, ‘কুলাঙ্গার নাস্তিক বামপন্থিরা আজ কোথায়? তারা কি দেখছে না টিএসসি চত্বর এখন যৌনপল্লীর রুপ (রূপ) ধারণ করেছে? কোথায় তোদের মানবতা?আর যারা এইসব অনুষ্ঠান পালন করে তাদের সাথে এরকমই হওয়া উচিৎ।। আল্লাহ কোন ধার্মিক পর্দাশীল মেয়েকে অসম্মান করান না।।’ রনি বলেছেন, ‘ওখানে না গেলে কি হয় না। এর জন্য মেয়েরাই দাই (দায়ী)। একটা ওপলক্ষ (উপলক্ষ) পেলে তারা ছোট পোশাক পরে না যাওয়া পর্যন্ত সান্তি (শান্তি) পায় না। কাকে ছি ছি ছি বলবো বুঝতে পারছি না।’·
শিবিরের সমর্থক আজিজুর রাহমান বলেছেন, ‘আপোষে আধুনিকতা, আর জোর খাটালে শ্লীলতাহানি। আমাদের পরদানশীন বোনদেরকে সন্ত্রাসের গোপন বৈঠক করে বলে বহিষ্কার করলা,লাঞ্চিত করলা কিন্তু তোমরা প্রতিবাদ করনি। আমাদের বোনদেরকে বেইজ্জতি করেছ, তোমাদেরকে আল্লাহ বেইজ্জতি না করে ছেড়ে দিবে ভেবেছ?জুয়েল রানা বলেছেন, ‘তাহলে এখন বুঝ মজা কেমন লাগে। তোমরা নারীর স্বাধিনতার জন্য নারীকে ল্যাংটা করে রাস্তায় বের করে নিয়ে আসো। এখনো সময় ইসলামের ভিতরে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশ করো পর্দা করা ফরয় (ফরজ) পর্দা করো। আল্লাহকে ভয় করো। চরিত্র ঠিক করো। বদমাশি (বদমায়েশী) ছেড়ে নামাজ পড় তাতে কাজে লাগবে।’
সাকলাইন বলেছেন, ‘আধা বিবস্ত্র নারী পুরা বিবস্ত্র হবে এটাই স্বাভাবিক। এক যুগ ধরে চলা দেশে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে গড়া মাইয়াটার জিবনটা (মেয়েটার জীবনটা) নষ্ট হইলো। বাকিরা শিক্ষা নিয়েন। নাইলে দেশের ভবিষ্যত আরো অন্ধকার!’ দ্রোহীমন সৌদ -এর বক্তব্য, ‘বর্ষবরন যদি ঘর থেকে বের করে টিএসসিতে আনতে পারে, শ্লীলতাহানি তো আত্মহত্যার মতই সাধারন ব্যাপার! কারন ওটা সে স্ব-ইচ্ছায় এসেছে হওয়ার জন্য! ১৪২২ তো তারই জন্যে স্মরণীয়! ঘরে স্মরণীয় কিছু কি করা যায়?’
হোসাইন আহওমদ কামাল বলেছেন, ‘আমি রাসূল (সাঃ) এর উম্মত। আমি হাজার বার বলব আমি লক্ষ বার বলব। আমি ঘৃনা করি যারা বৈশাখের নামে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়। আমি ঘৃনা করি যেসব নারী বৈশাখের নামে নিজের সুন্দর্য পর পুরূষকে বিলিয়ে বেড়ায়। আমি ঘৃনা করি ঐ সব নারী পুরুষকে যারা নামাজ বাদ দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আড্ডা দেয়। আমি আরো ঘৃনা করি যেসব নারী পুরুষ মুসলিম হয়েও অমুসলিম হিন্দুদের মত মূর্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।আপনি কেমন মুসলিম একবারো কি ভেবে দেখেছেন আপনি কি করছেন’

কামরুল ইসলাম কামরুল বলেছেন বেশ উপাত্তসহ। লিখেছেন - ‘হিন্দুদের সাথে একত্রিত হয়ে মুসলিম নামধারী যারা হারাম ১লা বৈশখ পালন করতে ওই সব জায়গায় যায় তারা আর যাই হোক ভালো মেয়ে নয়। কারন এইসব উতসবকে হারাম করা হয়েছে । আর ওরা এই রকম নাজেহাল হওয়াকে পরোক্ষ ভাবে পছন্দ করে। বছরের পহেলা দিবস পালন করা মজুসী বা অগ্নি উপাসকদের একটি একান্ত উৎসবের দিন। যেটা হিন্দু, বৌদ্ধ ও চাকমারা করে। এ দিবসটিকে উৎসব ও পূজার দিন হিসেবে গ্রহণ করে। তাই পহেলা বৈশাখ দুটি কারণে হারাম ও কুফরী:
১) এটি মজুসীদের অনুকরণ
২) এটি হিন্দু, বৌদ্ধ ও উপজাতিদের পূজা ও উৎসবের সাথে সদৃশ্য
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইসলাম কি কাফিরদের সাদৃশ্যপূর্ণ আমল করার অনুমতি দেয়? পবিত্র কুরআন হাদীস এ সম্পর্কে কি বলে???
১) পবিত্র কুরআন পাকে আছে-
“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (নিয়মনীতি, অন্য ধর্ম) তালাশ করে, তা কখনোই তার থেকে গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।” (সূরা আলে ইমরান-৮৫)
হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে, عن عمرو بن شعب عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من تشبه بغيرن. । অর্থ: “হযরত আমর বিন শুয়াইব তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।” (মিশকাত) - তাই এদের প্রতি হেদায়েতের সুপারিশ কিংবা আফসোস করাও ঠিক নয়।’

লাকির এই স্ট্যাটাস নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের সংযোগে লাকিসহ পুরো নারী সমাজকে
হেয় করে যেসব মন্তব্য ছোঁড়া হয়েছে - সেগুলো আরো ভয়াবহ।
লাকি আক্তারকে উদ্দেশ্য করে জহিরুল ইসলাম হোসাইনী নামের একজন লিখেছেন, ‘এই কথাগুলোর প্রেক্ষিতে কয়েকটি কথা বলতে চাই  ১.বিজ্ঞান মনস্ক (?) সুশীল তসলিমা নাসরিনের জরায়ুর স্বাধীনতা দাবীকে সমর্থন জানানোর পর এই ধরনের বক্তব্যের আর কোন গুরুত্ব থাকেনা | আপনি একদিকে জরায়ুর স্বাধীনতা চাইবেন অন্যদিকে কেউ এই স্বাধীনতাকে যুদ্ধ করে মুঠোয় এনে দিতে চাইলে তাকে জানোয়ার কুকুর বলে গালাগালি করবেন তা তো হয়না | ২. ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা বিবস্ত্র করা মেয়েদেরকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে এসেছেন - কথাটা কেমন যেন বেসুর লাগছে। এই কাজগুলো তো জঙ্গিদের কাজ। ছাত্র ইউনয়ন করতে যাবে কেন ? হেফাজতে ইসলামের ঢাকা ঘেরাওয়ের দিন এক মহিলা সংবাদ কর্মীকে নির্যাতনের সময় এই কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররাই কিন্তু তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌছে দিয়েছিলো, যার ভিডিও ফুটেজ এখনো আছে। কিন্তু আপনাদের ভাষায় তারা ভয়ংকর জঙ্গি। ৩. আপনাদের মনে আছে বিগত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের নিউজ কাভার করার জন্য ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক পিয়ার রহমান বিমানের ভেতর এক কিশোরীকে যৌন হেনস্তা করেন। অস্ট্রেলিয়া এয়ার পোর্টে নামার পর ওখানকার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তিনি বলেছিলেন যে ঘুমের মধ্যে ওই কিশোরীর গায়ে তার হাত উঠে যায়। তিনি বুঝতে পারেননি। আমরা জানি ঘুমের মধ্যে হাত নিচের দিকে থাকে। এই প্রথম এই সুশীল জানোয়ারের মাধ্যমে জানলাম ঘুমালে হাত উপরের দিকে উঠে। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ কিন্তু আমাদের মত চেতনায় উজ্জীবিত নয়। তাকে গ্রেফতার করে। ৪. বাংলাদেশের পুলিশ ভাইদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। মেলায় যারা যান তারা তো জেনে শুনেই যান। মেলা মানেই ঠেলা। ঠেলাঠেলি ঘেষাঘেষি হবেই। এক্ষেত্রে শ্রদ্ধেয় (?) জয়নাল হাজারীর লেখা 'বাঁধনের বিচার চাই' বইটি সবাইকে পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। ৫. বৈশাখী আপুদের বলছি আপনারা তো প্রতি বছরই ছেলেরা এমন ছেলেরা তেমন এইগুলো বলে মিডিয়ায় ঝড় তুলেন। ফেসবুক ভাসিয়া (ভাসিয়ে) দেন। একবারও কি ভেবে দেখেছেন এজন্য দায়ী কারা? কুকুরদের জন্য নিজেকে মেলে ধরবেন আর ওরা ঝাপিয়ে পড়বেনা তাকি হয় ? আসুন সবশেষে গতকালের একটি সংলাপ দেখি যা এইমাত্র ফেসবুকে পেলাম: '-এই ছেলে তোমার ঘরে কি মা বোন নেই ? গায়ে হাত দাও কেন? -জি আপু মা বোন্ আছে, তবে বউ নেই। তাই ভিড়ের মাঝে বউ খুঁজতাছি। -কি? এত বড় কথা! এটা কি বউ খুঁজার জায়গা? -জি আপু. আপনারা যখন বাসা থুয়ে বউ সেজে পাবলিকের ভিড়ে ডুকেছেন (ঢুকেছেন) তখন আমরাও এখানে বউ খুঁজছি? ওদেরকে জানোয়ার বলে লাভ কি? আপনারা কি খুব ভালো?’
কেয়া চৌধুরী নামের এক মেয়ে বলেছেন, ‘উলংগ হয়ে ছেলেদের সামনে চলবে তাহলে ছেলেরা কি তুমাদের চুমু খাবে ছেলেদের চেতনা জাগিয়ে নিরবে কোথায় যাবে যা হয়েছে তুমাদের নত নষ্ট রমনীদের জন্য উপযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
লাকির উদ্দেশ্যে ছোঁড়া মন্তব্যের একাংশ ...
তাজাম্মুল ইসলাম আবার এই ফাঁকে তার দলের প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই না হলে ইসলামী ছাত্রশিবির.. আজ বাংলা নববর্ষ। এই দিনকে পুঁজি করে যেখানে অধিকাংশ ছাত্রসমাজ বেহায়াপনায় লিপ্ত, গান,ফুর্তিতে মেতে উঠে নিজের চরিত্উঠে নিজের চরিত্রের ১২টা বাজাচ্ছে, সেখানে ছাত্রশিবির তার কর্মীদের চরিত্র সংরক্ষণে গ্রহন করেছে এক অভিনব প্রক্রিয়া। শিবিরের প্রতিটি উপশাখা থেকে শুরু করে থানা,মহানগরী পর্যন্ত সবখানেই আয়োজন করা হয়েছে কোন না কোন প্রোগ্রাম। যেমন সামষ্টিক পাঠ,হাদীস পাঠ,সাথী শিক্ষাশিবির সহ অন্যান্য মৌলিক প্রোগ্রামাদী। আলহামদুলিল্লাহ, যার ফলে আমাদের কোনভাবেই বেহায়াপনায় লিপ্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। অভিনন্দন ছাত্রশিবির তোমাকে। তুমি বেচে থাকো যুগ যুগ ধরে। আর তোমার হাত ধরে গড়ে উঠুক একটি চরিত্রবান,আদর্শ সমাজ।’ এমকে জামান লিখেছেন, ‘তোমাদের মত লাকিদের কারনেই সমাজে এত বেহায়াপনা। অভিযোগ কর কেন তোমরা তো এটাই চাও যে তোমরা রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে চলবে অার ছেলেরা সুযোগ মত চেপে ধরবে। অার জামায়াত শিবির এটা চায়না বলেই তারা অাজ জঙ্গি।’
আবুল কালাম লিখেছেন, ‘খানকি মাগির আবার যৌন লজ্জা।’  মোঃ মুরাদ লিখেছেন, ‘মেয়েগুলাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এটা ওই বদমাইশ মহিলাদের প্রাপ্ত ছিল। য়ারা (যারা) এই কাজ করেছে তাদের কে জানাই ধন্যবাদ কারন ওই ছেলে গুলা ছিল সত্যিকারের পুরুষ । শিয়াল সামনে মুরগি শরীল (শরীর) দেখায় ঘুরাঘুরি করবে শিয়াল শিকার করবে না তা হয় না।’ জুয়েল রানা লিখেছেন, ‘গন জাগরন মঞ্চ নামে তোরা যে যৌনতার মঞ্চ করে যে নোংরামি করেছিস এবং ছড়িয়ে দিয়েছিস এটা তারই প্রতিফলন ৷ এর জন্য তোরাই দায়ী৷’ হামিদ এইচ আজাদ লিখেছেন, ‘একে যদি বাংলার সংস্কৃতি বলে, লাথি মারি এই অপ-সংস্কৃতিকে।’
রবিউল আওয়াল লিখেছেন, ‘উলংগ (উলঙ্গ) হয়ে ছেলেদের সামনে চলবে তাহলে ছেলেরা কি তুমাদের (তোমাদের) চুমু খাবে ছেলেদের চেতনা জাগিয়ে নিরবে কোথায় যাবে যা হয়েছে তুমাদের (তোমাদের) নত (মতো) নষ্ট রমনীদের জন্য উপযুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি।কর্ণেল শাকুর মজিদ দাবি করেছেন, ‘এই সব বেহায়াপনার বিরুদ্ধে এন্টিভাইরাস!! কুত্তায় কামড়ালে নাকি যে রাবিস পুশ করা হয়, তা নাকি জলাতঙ্কের জীবাণু দিয়ে তৈরি!! এই সব বেহায়া নারীদের বিবস্ত্র ও ধর্ষণ করে এন্টি ভাইরাস দেওয়া উচিত যাতে কেউ আর এসব উলংগপনা (উলঙ্গপনা) করার সাহষ (সাহস) না পায়!! ধন্যবাদ ছাত্রলীগ ভাইদের!!’ যুবায়ের আহমেদ পিকুল বলছেন, ‘ছেলেগুলোর যৌন জাগরন হয়েছে, আর কি করা। ভাদ্র মাসের কুত্তা কুত্তির কামলীলা। শুধু কুত্তার টাই দেখলেন, কুত্তি যে পাছা উদোম করে রাখে সেটার নামই কি নারী স্বাধীনতা?’
মোহাম্মদ রওশন আহমদ লিখেছেন,  ‘হা হা হা আজ খুব আনন্দ লাগতাছে মামুরা আপনারা ও প্রান খুলে হাসুন হা হা হা। গত কালকের পতিতা বরণ অনুষ্ঠানের দিনে বহু পতিতার গলায় ইলিশের kata (কাঁটা) নাকি লেগেছে। অনেক পতিতাকে জুর পূর্বক (জোড়পূর্বক) ধর্ষণ করা হয়েছে হুল আলা হুল আলা... অনেকে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, অনেকে নিরবে চোখের পানি ফেলছে। কি যে আনন্দ না লাগছে! উক্ত দিনের উপহার পেয়ে হুল আলা হুল আলা...’
এ এম জুবায়ের বাবু লিখেছেন, ‘ঠিকই আছে,আরো বেশি করে করার দরকার ছিলো। বেহায়াপনার এক্তা সীমা আছে। যারা বাঁধন এর কথা ভুলে গিয়ে নতুন সাঝে (সাজে) উদ্যমী হতে চায় তারাই এর শিকার হইছে। যাদের গত আওয়ামী লীগ (১৯৯৬-২০০০) আমল এর কথা মনে নাই তাদের আর বেশি করে করা উচিত। Go ahead (এগিয়ে যাও) বাংলার সোনার ছেলেরা। সালা বাইনচোদ এর বাচ্চারা।’

সাহিদুল ইসলাম বাঁধন লিখেছেন, ‘একটি বৈশাখি মেলায় পঞ্চাশটিই আল্লাহর গজব টেনে আনবে। আপনি কি বাবা নাকি দালাল? কিভাবে পাঠালেন আপনার মেয়েকে, আপনার বুনকে (বোনকে), আপনার বৌকে হাজার লুকের (লোকের) বিডের (ভীরের) ভিতর, যেখানে পুরুষ লুক (লোক) হাঁটতে কষ্ট হয়ে যায়। আপনি তো উদ্দেশ্য করে পাঠিয়েছেন। তাহলে আপনার উদ্দেশ্য কি ইসলাম ধ্বংস করা। নাকি মুসলিম ছেলেরা জিনার (বহুগামিতার) পথে যাওয়া আপনার মতো পুরুষ খ্রিষ্টানের দালাল।’

সত্যবালক নামের একটি আইডি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ভাল ঘোড়ার এক চাবুক। এই বোনদের যদি কিঞ্চিত জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চেতনার বেশ্যামী ভুলে দ্বীনের পথে ফিরে আসবে । জ্ঞানীদের একটি কথা আছে ,আকেলমান্দ কে লিয়ে ইশারা কাফি হায়। অর্থাৎ জ্ঞানীদের জন্য ইঙ্গিতি যথেষ্ট। এরপরেও যদি বুঝ না আসে ,তাহলে যেমন কর্ম তেমন ফল পাবে । যেমন পেয়েছে।’

সোহাগ খান লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে আমি সম্মান করি,কিন্তু সে পবিত্র বিদ্যাপীঠ কে অসম্মান করচে কিচু (করছে কিছু) বেজন্মার জাত, যারা আল্লামা শফি সাহেবের মত লোকদের অপমান করে, আল্লামা সাইদি সাহেবের মত লোকের পাশী (ফাঁসি) দাবি করেকুত্তার বাচ্চারা মা বোন্দের ইজ্জতে হামলা করে, তাদের কাচে উদের (কাছে ওদের) মা বোন ও নিরাপদ নয়।’

এড়িয়ে যাবেন না। পড়ুন ...
সংবাদ ভাষ্য
সেদিনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিক সংবাদগুলোয় বলা হয়েছে, বাংলা নববর্ষের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে এ ঘটনা ঘটে। নিপীড়নকারীদের ঠেকাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন শাখার সভাপতি লিটন নন্দীর হাত ভেঙেছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে এই ঘটনা জানানো হলেও তাঁরা যথাসময়ে ব্যবস্থা নেননি। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট। তারা অভিযোগ করেছে, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণেই যেকোনো উৎসবের দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তারা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা দেখে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

সক্রিয় বাঁশের কেল্লাও
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটন নন্দী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলা নতুন বছর উপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি আসার পথে তাঁরা কয়েকজন দেখেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ৩০-৩৫ জনের একদল যুবক বেশ কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করছে। তারা কারও কারও শাড়ি ধরে টান দিচ্ছিল। কয়েকজনকে তারা বিবস্ত্রও করে ফেলে। এ সময় সেখানে বাধা দিতে গেলে ওই যুবকদের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান এবং তাঁর হাত ভেঙে যায়।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিটন নন্দী বলেন, ‘এ দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না। আমি আমার পাঞ্জাবি খুলে এক নারীকে দিয়েছিলাম। আরেকটি মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। ওই যুবকেরা ভিড়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে এই ঘটনা ঘটাচ্ছিল। আমরা পুলিশ ও প্রক্টরকে ঘটনা জানালেও তারা কেউ যথাসময়ে আসেনি। ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেরা পরে প্রক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে দেখেন, তিনি কম্পিউটারে গেমস খেলছেন।’ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী গেটে যখন এই ঘটনা ঘটছিল, তখন সেখানে মাত্র দুজন পুলিশ ছিল। টিএসসির ডাচ-বাংলা বুথের দিকে বেশ কয়েকজন পুলিশ ছিল। আমরা তাদের এগিয়ে আসতে বললে তারা তখন রাজি হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুজনকে ধরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ পরে তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে জানতে পারি।’
গণমাধ্যমগুলো আরো বলছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজ্ঞান লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় যেখানে খুন হন, তার পাশেই সোহরাওয়ার্দী গেটে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র অভিযোগ করেছেন, সোহরাওয়ার্দী গেট এবং এর ভেতরে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায়ও প্রথম বর্ষের কিছু ছাত্র নিয়মিতই নারীদের লাঞ্ছিত করে। এসব ব্যাপারে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরও এসব প্রতিরোধে এগিয়ে আসা উচিত। ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ঘটনাস্থলে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে। কাজেই সেগুলো দেখে যেন দ্রুত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বাঁশের কেল্লার আরেকটি পোস্ট
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা আমাকে খবর দেওয়ার পরপরই আমি পুলিশকে সোহরাওয়ার্দী গেট বন্ধ করতে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে বলে আমি জেনেছি। আমরা পুলিশকে বলেছি সিসি টিভির ফুটেজ দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে।’

আরেকটি সংবাদে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। আক্রান্ত নারীদের রক্ষার জন্য তাদের কাছে মিনতি জানালে প্রথমে তারা এগিয়ে এসে মৃদু লাঠিচার্জ করে। কিন্তু বস্ত্রহরণকারীদের ছাত্রলীগ পরিচয় জেনে নিস্ক্রিয় হয়ে যায় পুলিশ। ওই সময় এক নারীকে রক্ষা করতে গিয়ে এগিয়ে যান ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা নেতা লিটন নন্দী নিজের গায়ের পাঞ্জাবি খুলে এক বিবস্ত্র নারীর ইজ্জত হেফাজত করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন। এই ঘটনার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগের বখাটে কর্মীরা জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ছাত্র ইউনিয়ন জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করে তাদের বহিরাগত আখ্যা দিয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
টিএসসি’র ঘটনার পর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেও যুবকদের নিবৃত্ত করতে পারেনি। এ ঘটনার জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম সরকারও বলেছেন, ‘পুলিশ এ ব্যাপারে বিধিমতো ব্যবস্থা নেবে।’ এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।’
মনে রাখবেন
সামরিক সরকারদের আনা সংশোধনীগুলো বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ অসাম্প্রদায়িক নীতির সেই ৭২’র সংবিধানে ফেরার সুযোগ তৈরী করে দিয়েছিলো আমাদের উচ্চ আদালত। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সেই সংবিধান পুণর্বহাল না করে - তাদের ইসলামী ভোট ব্যাংক বাড়াতে চেয়েছে। আরেকটি (পঞ্চদশ) সংশোধনী এনে স্বৈরশাসকদের ইসলামী সিদ্ধান্তগুলোকেই দিয়েছে ‘গণতান্ত্রিক’ স্বীকৃতি। সংবিধানের শুরুতে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, মানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম’ - কথাটি রেখে দিয়েছে। রেখেছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকেও। আর নারীদের তেঁতুল আখ্যা দেয়া আল্লামা শফী হুজুরকে দিয়েছে ৩২ কোটি টাকা মূল্যের জমি। আর এটাও নিশ্চয়ই মনে রাখুন, বর্তমানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা এবং স্পিকার, তিন জনই নারী।

বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণীকে বিবস্ত্র ও নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।

 প্রসঙ্গত, বাংলা নববর্ষ উদযাপণ করে বাসায় ফেরার সময় ঢাবি ক্যাম্পাসে এক তরুণীকে বিবস্ত্রসহ একাধিক নারীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। - See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/16/76990#sthash.8S49RSXi.dpuf
বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণীকে বিবস্ত্র ও নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।

 প্রসঙ্গত, বাংলা নববর্ষ উদযাপণ করে বাসায় ফেরার সময় ঢাবি ক্যাম্পাসে এক তরুণীকে বিবস্ত্রসহ একাধিক নারীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। - See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/16/76990#sthash.8S49RSXi.dpuf
বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণীকে বিবস্ত্র ও নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।

 প্রসঙ্গত, বাংলা নববর্ষ উদযাপণ করে বাসায় ফেরার সময় ঢাবি ক্যাম্পাসে এক তরুণীকে বিবস্ত্রসহ একাধিক নারীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। - See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/16/76990#sthash.8S49RSXi.dpuf
বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণীকে বিবস্ত্র ও নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।

 প্রসঙ্গত, বাংলা নববর্ষ উদযাপণ করে বাসায় ফেরার সময় ঢাবি ক্যাম্পাসে এক তরুণীকে বিবস্ত্রসহ একাধিক নারীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। - See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/16/76990#sthash.8S49RSXi.dpuf
তবুও সুন্দর আগামীর স্বপ্ন জিইয়ে বাঁচে বাঙালের প্রতিবাদ, জাগো বঙ্গ।

১৩ নভেম্বর ২০১৪

বরিশালই ‘আপন’ নায়লার

ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাথে
নিজের ব্যক্তিগত একাউন্টে অনুসারী ৭০ হাজার ৫৩১ জন আর অফিসিয়াল পেইজে দুই লাখ ৪০ হাজার ৪২৯ জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এই পরিসংখ্যান অবশ্য তার ‘উঠতি জশ’ বোঝানোর জন্য যথেস্ট নয়। পেশায় দন্ত চিকিৎসক হলেও স্বল্পবসনা বাংলাদেশী মডেল, আইটেম গার্ল বা নায়িকার পরিচয়ে আলোচনায় আসা এ তরুণীর পরিচিতি দিন দিনই বাড়ছে। সামাজিক গোঁঢ়ামীর পরাকাষ্ঠা ভাঙার সাহস দেখানোয় একদিকে যেমন সাধুবাদ পাচ্ছেন; অন্যদিকে আবার ‘ধর্মীয় মূল্যবোধ’ ও ‘বাঙালি সংস্কৃতি’ পরিপন্থী হিসাবেও অভিযুক্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ দেশ-বিদেশে ইতিবাচক ও নেতিবাচক, দু’ভাবেই প্রচার পাচ্ছেন তিনি। গত শতকের শেষ দশকে (১৪ ডিসেম্বর) বরিশালে জন্ম নেয়া এ তরুণীই এখন দেশী মিডিয়ার একমাত্র ‘সেক্সসিম্বল’। এতক্ষণে অধিকাংশ পাঠক তার নাম আন্দাজ করে ফেলেছেন নিশ্চয়ই। সময়ের আলোচিত চরিত্র, নায়লা নাঈম। বরিশাল থেকে পরিচালিত এক অনলাইন নিউজ পোর্টাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তার এ সাক্ষাতকারটি নেয়া হয়েছিলো।

ঈয়ন : বরিশালের কোন এলাকায় জন্ম আপনার? বাবা-মাসহ পুরো পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই।
নায়লা নাঈম : বরিশালের পটুয়াখালিতে আমার জন্ম। বাবা, মা ও ছোট ভাইকে নিয়েই আমার পরিবার। বাবা বেসরকারী চাকরীজীবি আর মা আইনবিদ। আর ছোট ভাই পড়াশোনা করছে।

ঈয়ন : কেমন ছিলো আপনারৈ শৈশব, স্কুল জীবন?
নায়লা নাঈম : আমার শৈশব অনেক বৈচিত্রময়। বাবার চাকরির সুবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আমার শৈশব কেটেছে। সবশেষে অবশ্য বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়া হয়। আসলে স্কুল জীবনটা অনেক আনন্দময় ছিলো। অনেক বন্ধু-বান্ধবী ছিলো সেসময়। আমার স্কুল জীবনের খুব কাছের কোনো বান্ধবীর সাথে এখন আর যোগাযোগ নেই। অনেক মিস করি তাদের। অনেক মনে পড়ে স্কুলের স্মৃতিগুলো।

এখন তিনি
ঈয়ন : কি জাতীয় ঘটনার স্মৃতি?
নায়লা নাঈম : মনে পড়ে, আমার এক স্কুলে অনেক গাছের চারা লাগানো ছিলো । আর আমার নিজেরও বাগান করার প্রবল শখ ছিলো। বাসার টবে অনেক গাছ লাগাতাম। তখন মাঝে মাঝে স্কুল থেকেও গাছ নিয়ে এসে বাসার টবে লাগাতাম। এছাড়া আমার সেই স্কুলে একটা পুকুরও ছিলো। প্রায় প্রতিদিন স্কুলের পুকুর পাড়ের শীতল হাওয়ায় অনেকক্ষন বসে থাকা আমার শৈশবের অন্যতম আনন্দময় অভিজ্ঞতা।

ঈয়ন : কুসুমকুমারী দেবী, কামীনি রায়, মনোরমা বসু মাসীমা, সুফিয়া কামাল বা মুক্তিযোদ্ধা আলমতাজ বেগমের মতো যে অগ্রগামী নারীরা বরিশালে জন্মেছিলেন, তারা কি আপনার জীবন দর্শণে কোনো প্রভাব ফেলেছেন?
নায়লা নাঈম : আমি সবসময়ই বরিশালে জন্ম নেয়া কৃতি সন্তানদের অনেক শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। তাঁদের আদর্শ, তাঁদের সংগ্রাম ও সফলতা আমায় এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রেরণা যোগায়।

________________________________________

ঈয়ন : বলা হচ্ছে আপনি বাংলাদেশের প্রথম সেক্সসিম্বল মডেল, আইটেম গার্ল ও নায়িকা। আপনার আগে এ ক্ষেত্রে কেউ এতটা সাহসী হয়নি। এ সাহস আপনি কোথায় পেলেন? আর এ সাহস প্রদর্শন কি শুধুই খ্যাতির তাড়নায়, না নারী অগ্রযাত্রার বিষয়টিও আছে আপনার ভাবনায়?
নায়লা নাঈম : আসলে ডেণ্টিস্ট হবার পাশাপাশি, আমি যখন মডেল হিসাবে কাজ করি, আমার বিবেচনায় প্রাধান্য থাকে- যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছি সেই প্রোডাক্টটিকে সফলভাবে তুলে ধরা। আমার পাশাপাশি অনেকেই কিন্তু একইরকম কাজগুলো করছেন। কিন্তু তারা হয়ত আলোচনায় আসতে পারেননি। শুধুমাত্র আমার কাজগুলো নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। অনেকে হয়ত ব্যাপারটিকে সহজভাবে নিতে পারেননি এবং সমালোচনা করেছেন। কিন্তু অনেকেই আবার ওই একই কাজগুলোর প্রশংসাও করেছেন। তবে একটি ব্যাপার, কাজ করার সময় খ্যাতির ব্যাপারটা আমার কখনোই মাথায় থাকে না। আমি সব সময় বিশ্বাস করি- ভালো কাজ করলে, সঠিকভাবে মূল্যায়িত হলে- খ্যাতি পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভালো কাজের জন্যই আজ আমি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।
আলোকচিত্রীঃ নাসের আবু
ঈয়ন : বাঙালী মধ্যবিত্তের মূল্যবোধ কাঠামো নাড়িয়ে প্রচলিত অনুশাসনের প্রতি বৃদ্ধঙ্গুলি প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে যে প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে তা কি করে সামলাচ্ছেন?
নায়লা নাঈম : আমার কাছে মনে হয়, একবিংশ শতাব্দীতে সময়ের সাথে সাথে আমাদের মূল্যবোধে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে একটা কাজ যেভাবে দেখা হত, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সেটা এখন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হচ্ছে। এরপরও প্রতিটি কাজেরই ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া থাকবে। যদিও ‘Different People, different thoughts’। এক্ষেত্রে আবারও বলছি, আমার যে কাজগুলো নিয়ে সমালোচনা হয়েছে, সেগুলো কিন্তু অনেক প্রশংসাও পেয়েছে। মূল ব্যাপার হচ্ছে, একটা কাজ কে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন - সেটা যার যার একান্ত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। তবুও আমি আমার কাজের প্রতিটি সমালোচনাকে অনেক গঠনমূলক ভাবে নেই। কারো সমালোচনার মাঝে সৃজনশীল কিছু পেলে তা গ্রহন করতে বা সেখান থেকে কিছু শেখার থাকলে সেটাকে ইতিবাচকভাবে নিতে আপত্তি নেই আমার।

ঈয়ন : পরিবারিক পারিপার্শ্বিকতা কতটুকু সহায়ক বা প্রতিবন্ধক হয়েছে?
নায়লা নাঈম : আমি সত্যিই ভাগ্যবান যে, মিডিয়ায় কাজ করার ব্যাপারে পরিবারের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে এসেছি সবসময়। আমার পরিবার আমার কাজের সবচেয়ে বড় সমালোচক। তাদের সমর্থন ছাড়া কখনোই এত দূর আসা সম্ভব ছিলো না।
তন্ময় তানসেন পরিচালিত ‘রানআউট’ সিনেমার গানের দৃশ্যে
ঈয়ন : এ মুহুর্তে আপনার জীবনের লক্ষ্য কি? মানে এ জীবনে কি কি করতে চান?
নায়লা নাঈম : আপনারা জানেন যে, পেশাগত জীবনে আমি একজন ডেন্টিস্ট, মডেল এবং অভিনেত্রী। ঢাকায় আমার নিজের ক্লিনিক আছে, সেখানে আমি নিয়মিত রোগী দেখে থাকি। এই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য, ডেন্টিস্ট হিসাবে নিজেকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এছাড়াও অদূর ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সফল অভিনেত্রী হিসাবে দেখতে চাই।
ঈয়ন : রিলেশনসিপ স্ট্যাটাস -
নায়লা নাঈম : এখনো আমি আমার মনের মত কোনো মানুষ খুঁজে পাইনি। আমি যাকে পছন্দ করবো সে দেখতে যেমনই হোক, মানুষ হিসাবে তাকে অবশ্যই অনেক ভালো, মানে সৎ ও চরিত্রবান হতে হবে।
ঈয়ন : আত্ম-সমালোচনা করুন।
নায়লা নাঈম : আসলে ডেণ্টিস্ট্রি, মডেলিং ও অভিনয়, তিনটি কাজ নিয়েই আমাকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই মাঝে মাঝে আমার নিজের কাছে মনে হয় আমি যদি শুধুমাত্র একটি পেশায় নিয়োজিত থাকতাম তবে সে পেশায় আজ আরো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকতো; আরো ভালো কাজ করতে পারতাম।

সাম্প্রতিক ফটোস্যুট
ঈয়ন : বরিশাল ও বরিশালের মানুষ সম্পর্কে আপনার অভিমত জানতে চাই।
নায়লা নাঈম : বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় থাকা হলেও বরিশাল আমার সবচেয়ে পছন্দের শহর। বরিশাল শহরটাকে আমি অনেক মিস করি। বরিশাল শহরের সাথে আমার কৈশোরের অনেক অদ্ভুত প্রিয় স্মৃতি জড়িত। প্রথম ভালোবাসা বরিশালকে ঘিরে, প্রথম ভালোবাসার মানুষটাও ওই শহরের। তাই আমার এই ব্যস্ত জীবনের মাঝেও সময় পেলেই বরিশাল যাওয়ার ইচ্ছা থাকে আমার। ইচ্ছে করে হারানো কাছের বন্ধুদের খুঁজে পেতে। যাদের সাথে স্কুলে বসে অনেক আড্ডা দিতাম, ছুটির পরে একসাথে হেঁটে বাসায় ফিরতাম।

ঈয়ন : বরিশালবাসীর উদ্দেশ্যে কিছু বলার আছে?
নায়লা নাঈম : বরিশালবাসীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বরিশালের মানুষ আমার অনেক আপন ও কাছের মানুষ। আমি সত্যি গর্বিত এই ভেবে যে, বরিশালবাসীরা মানুষ হিসাবে অনেক আন্তরিক ও ভালো মনের মানুষ। এই জনপদে জন্মগ্রহন করে আমি গর্ববোধ করি।
নায়লা নাঈম সম্পর্কে কৌতূহলীরা অন্তর্জালের যে কোনো খোঁজ যন্ত্রে বাংলা বা ইংরেজীতে তার নামটি লিখে অনুসন্ধান করলে নিরাশ হবেন না। খুঁজে পাবেন বহু সংযোগ। তার ওয়েবসাইটের ঠিকানা - www.nailanayembd.com আর পেইজের facebook.com/artist.nailanayem
অফিসিয়াল পেইজের স্ক্রিনসট
newsreel [সংবাদচিত্র]