Powered By Blogger
আত্ম-বয়ান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আত্ম-বয়ান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

০৮ জুলাই ২০১৫

সর্বোচ্চ সংকর জাতের সঙ্কট

© eon's photography
কালান্তরের বিভিন্ন গণিতে নিম্ন মধ্যম আয়ের জনপদে পরিণত হওয়া বাঙালের এই দেশে নিম্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা যে কারো কোনো সুতীব্র ইচ্ছেই তার বাঁচার ইচ্ছে নাই করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এমন আত্মোপলব্ধিতে দাঁড়িয়ে আজও এ জাতির অজস্র মানুষ বিশ্বাস করে, “অযোগ্যরাই এভাবে ভাবে। যোগ্যদের স্বপ্ন যে কোনো অবস্থায় বাঁচে, এবঙ তারা বাঁচায় আরো অজস্রের স্বপ্ন। দুরন্ত পতনে নৈরাশ্যের সুতীক্ষ্ণ খাদের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে যেতেও তারা ঘুরে উড়ে বেড়িয়ে যেতে পারে।” কারণ তাদের অনার্য খুনে থাকা অনিবার্য স্বাধীনতার সুপ্ত তৃষ্ণা কখনোই মরে না। বরঙ হাজার বছর ধরে বিপরীত স্রোত ডিঙানোয় তারাই যে শ্রেষ্ঠ। যদিও এই জাতির কখনো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনাকাঙ্খা ছিলো না।
বেথেলহামে জ্ঞানী যীশু জন্মের দু’হাজার পনেরো বছর পেরিয়ে গেছে। মহাজ্ঞানী মোহম্মদ মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছেন, তা’ও চৌদ্দশ ছত্রিশ বছর আগে। এসবেরও প্রায় অর্ধলক্ষ বছর আগে সভ্য জ্ঞানচর্চায় অভ্যস্ত হওয়া একটি জাতির নাম ‘বাঙাল’। গঙ্গা অবববাহিকার উর্বর নদীমাতৃক সমতলে বসবাসকারী এই জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই পুরানো। আদি প্রাচুর্যতা ও প্রাণখোলা ঔদার্যের সুবাদেই সম্ভবত তারা আজকের দুনিয়ায় ‘সর্বোচ্চ সংকরায়িত মনুষ্য জাত’। পৃথিবীর অন্য কোথাও এত বেশী বৈচিত্রপূর্ণ চিন্তা, চেতনা, রঙ, আকৃতির ‘হোমো সেপিয়েন্স’ সমৃদ্ধ একটি ভাষাগোষ্ঠী পাওয়া যাবে কি’না, সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাদের ভাষা বাঙলাও নিঃসন্দেহে বিদ্যমান দুনিয়াবী ভাষাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংকরায়িত এবঙ জীবিত। যে কোনো ভাষার শব্দকে অনায়াসে আত্মীকরণে বাঙালরা ওস্তাদ।
© eon's photography
এমন পরাক্রমশালী ভাষাজ্ঞান থাকা সত্ত্বেও এ জাতকে বরাবরই পর্যুদস্ত করেছে কূটনীতিচর্চার অনীহা। সম্ভবত জাতির কোনো কৌমের জ্ঞানেই কখনো বিভেদের প্রবণতা সমাদৃত ছিলো না। হয়ত তাদের সমাজে পরিত্যাজ্য ছিলো না কেউই। যে কারণেই তারা অতিথিকে পরিবারের সদস্যদের মতোই আপন করে নিতে পারতো। চাহিদার ক্ষেত্রেও তারা বরাবরই অল্পতে তুষ্ট। যারই জেরে আজও অধিকারের প্রশ্নের দেয়ালে পিঠ না ঠেকা পর্যন্ত মুখ বন্ধ রাখতেই ভালোবাসে নির্ভেজাল শান্তি প্রিয় এই জাতির মানুষগুলো। সংঘাতের চেয়ে সমঝোতাই তাদের অধিক পছন্দ।
যে কথা বলছিলাম; বাঙালের জনপদে শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাটাই বহিরাগত। সাম্রাজ্য ও বাণিজ্য বিস্তারের লুটেরা ঘোড়ায় সাওয়ার করে আগত বহিরাগতরা নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার স্বার্থেই বিভেদের এই মন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এখানে। এক্ষেত্রে তাদের প্রিয় ও প্রধান হাতিয়ার ছিলো ধর্ম। কারণ তারা দেখেছিলো দুর্নিবার সাহসী আর একগুয়ে এই জাতি কোনো অস্ত্র নয়, কেবল জ্ঞানের সামনেই নতজানু হয়।
আর্যরা আসার আগে বাঙালের চরিত্র কতটা সহজ সরল ছিলো তা এ দেশের সাধারণ কৃষক, মাঝি, জেলে, কুমার, কামার, ছুতার, করাতী বা শীলদের মতো ‘কথিত’ নিম্নবর্গের পেশাজীবি সম্প্রদায়গুলোর জীবনপ্রণালী নিবিড়ভাবে খেয়াল করলে আজও কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাবে হয়ত। দেখবেন এরা কর্মঠ, সাহসী, কৌতূহলীও। তবে কারো বিরক্তি বা ক্ষতির কারণ হবে না। হয়ত প্রত্যেকটি মানুষ যে প্রত্যেকের জন্য কত প্রয়োজনীয় তা’ও ওরা হাজার বছর আগেই জেনেছে। আর তাদের সমাজে গিয়ে মিশলেই বুঝবেন তারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও জ্ঞানকে আজও কতটা কদর করে।

© eon's photography
অবস্থাদৃষ্টে এটা সহজেই বোধগম্য যে, সংকরায়িত বাঙালরা পারস্পারিক আস্থাহীনতায় বড় জড় আর ভীত এক জাতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনে তাদের মনন বিভ্রান্ত। এমন ভাবনার পরম্পরাতেই একদিন মনে হয়েছে বাঙাল অধ্যুষিত এই জনপদ বেশ বুঝে শুনেই ভিনজাতির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অধীনতা মেনেছে বহুবার। অর্থাৎ বার বার তারা স্বেচ্ছায় পরাধীন হয়েছে। এই যেমন আজও তাদের দেশ চলছে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র আর দাতাসংস্থা নামধারী ভিনদেশী একাধিক শাসকগোষ্ঠীর ইশারায়। অবস্থানগত কারণে বিশ্ব রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ আজ এসব জেনেও উদাস। যদিও এটা দুঃখজনক যে প্রজন্মান্তরে ওই জানার বা বোঝার ইচ্ছেটুকুও ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে।
সংকরায়ন পরবর্তী ইতিহাস বলে বাঙালের পক্ষে কেউ রুখে দাঁড়ালে বৈদেশিক চালে স্ব-জাতের হাতেই তার মৃত্যু অবধারিত। তবুও আমি বিশ্বাস করি বিবর্তন আসন্ন। কারণ বাঙাল বড় কঠিন জাত, প্রকৃতির আশীর্বাদপুষ্ট। তাদের ‘দাবায়া রাখা’ বড়ই কঠিন।  দীর্ঘ পরাধীনতা তাদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সমৃদ্ধও কম করেনি। এই সমৃদ্ধির সুফল হয়ত অবাঙাল কেউ কেউও আন্দাজ করতে পারছেন। 
সংকরায়িত বাঙাল জাতির ‘প্রত্যক্ষ’ স্বাধীনতার পরিপক্কতা আরেকটু বাড়ুক। তাদের রাষ্ট্রের বয়স অন্তত পঞ্চাশ, একশ বছর হোক। ততদিনে তাদের নতুন গণিতের প্যাঁচে না পরার কৌশল শেখা হয়ে যাবে। তখনই দেখবেন তাদের পাস্পরিক আস্থাহীনতাও কাটতে শুরু করবে। ক্রমে দুর্বল হতে থাকবে ‘বিভেদ জিইয়ে সুবিধা আদায়ে পটু ভিনদেশী’ পরোক্ষ শাসকগোষ্ঠী । এক সময় তারা আর ভাত পাবে না। অমুক বাদ, তমুক পন্থা বা পাপ, পুণ্যের দোহাই দিয়ে বাঙালকে আলাদা করা বেশ কঠিন হয়ে যাবে
© eon's photography
সেই বিভেদহীন প্রজন্মের অপেক্ষায় আজকের বাঙালরা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন? সে উপায় নেই কিন্তু। কাঙ্খিত সেই প্রজন্মের জন্য পথ তৈরীর দায়িত্ব নিতে বোধসম্পন্ন প্রত্যেককে। পথটা যত দ্রুত তৈরী হবে, ততই তরান্বিত হবে তাদের আগমন কাল। সতীর্থ অগ্রজ রাসেল আহমেদের কথায়ও সমভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছিলাম। স্বাধীন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা কোথায় যেন লিখেছেন - “একরোখা দামাল বাঙাল প্রাণই ডেকে নিয়ে আসবে সোনালী আগামী।” অর্থাৎ আগামী পৃথিবীর মুক্তি বাঙালেরই হাতে। একদিন বাঙালই ঘুচিয়ে দেবে সব বিভেদ, সীমানা। খাকবে না কোনো শোষণমন্ত্র,  জাগবেই সারা বিশ্ব। 
আর হ্যাঁ, বাঙাল কখনো সাম্রাজ্যবাদী হবে না, হতে পারবে না।

১৮ নভেম্বর ২০১৪

কৈশোরের টেম্পু স্ট্যান্ড, বন্ধু ...

old mate | © eon's photography / pap
ছবির এই মানুষটি বহু পুরানো বন্ধুদের একজন। অথচ তার আসল নাম কখনো জানাই হয়নি। আমার কাছে আজও তার নাম ‘দাদু’। তাকে এ নামেই ডাকতাম আমরা, মানে বন্ধুরা। প্রায় ১০ বছর পর দেখা হয়েছিলো এই দাদুর সাথে, তা’ও দুই বছর আগে - ১২’র নভেম্বরে - বরিশাল মহাশ্মশানে। 
স্কুল জীবনের প্রিয় আড্ডাখানাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো নতুন বাজার টেম্পু স্ট্যান্ড। ১৯৯৭-৯৮ থেকে ২০০০-০১ সালের সেই টেম্পু স্ট্যান্ডের সাথে আজকের স্ট্যান্ডের কোনো মিলই নেই।

ওই সময় পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক উল্টোদিকে সারি বাঁধা টিনশেড ঘরগুলোয় ছিলো ওয়ার্কসপ। সারাদিন টেম্পু মেরামতের কাজ হত। আর ওয়ার্কসপগুলোর পূর্ব প্রান্তে ছিলো সোহেল ভাইয়ের চায়ের দোকান।  আর তার দোকান ঘেঁষা রেলিঙ দেয়া কালভার্ট পেরুলেই কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি। দুঃসাহসিক ডাকাত হিসাবে বরিশাল অঞ্চলের এক ‘মিথিক্যাল ক্যারেক্টার’ ছিলেন ওই মোল্লা।  মন্ত্রবলে তিনি বিভিন্ন পশুপাখি রূপ ধারন করতে পারেন, এমন গল্পও শুনেছি।

মোল্লার বাড়ির সেই রেলিঙ দেয়া কালভার্টের অন্যপাশে ছিলো টিএন্ডটি’র দুটি ডিস্ট্রিবিউসন পয়েন্ট কেবিনেট। তারই সামনে ছিলো দাদুর সেলুন। সেলুন বলতে - ওই কেবিনেট আর বিদ্যুতের খুঁটির সাথে কসরত করে ঝুলানো পলিথিনের চালা, ছোট্ট আয়না, হাতলভাঙা চেয়ার, আর একটি টিনের বাক্সে খুর, কাঁচি, ফিটকিরি, সাদা কাপড়সহ আনুসাঙ্গিক কিছু উপাদান। চুল, দাঁড়ি কাটার চেয়ে মাথা আর শরীর মেসেজে খ্যাতি ছিলো তার। তবে খুব বেশী কাজ পেতেন না। এ নিয়ে কোনো হা-হুতাশও ছিলো না তার। তামাম অনিশ্চয়তাও ঢেকে রাখতেন পুরু মোটা চশমার আড়ালে । যদিও মাঝে মাঝে দেখতাম চেয়ারে বসে উদাস হয়ে তাকিয়ে আছেন রাস্তার দিকে। কি ভাবনায় ডুবে যেন রিক্সা-গাড়ির আসা-যাওয়া দেখছেন।  আবার কখনো মুড ভালো থাকলে খুব আয়েশ করে বিড়ি ধরিয়ে তুমুল উৎসাহ নিয়ে নানান আলাপ জমাতেন,  বিশেষ আগ্রহ ছিলো স্থানীয় রাজনীতির ব্যাপারে।
সোহেল ভাইয়ের দোকান, রেলিঙ দেয়া কালভার্ট আর দাদুর সেই সেলুনের সামনে সিরিয়ালে থাকত বানারীপাড়া রুটের টেম্পুগুলো । কৈশোরের কত সকাল, দুপুর, রাত কেটেছে - ওই টেম্পুগুলোয়। অদূরেই ছিলো জগদীশ আশ্রম। সেটিও আমাদের আড্ডাখানা ছিলো দীর্ঘ দিন। লুকিয়ে সিগারেট ফোঁকা বা গলা ছেড়ে গান গাওয়ার সেই মুহুর্তগুলো - আহা, কতই না অনাবিল ছিলো। 

বহুতল ভবনের নীচতলার একটি স্টলে আশ্রয় নিয়ে সোহেল ভাইয়ের চায়ের দোকান আজও টিকে আছে।  দাদু অবশ্য টিকতে পারেনি। দু’বছর আগের সে সাক্ষাতে বলেছিলেন, তার সেলুন এখন কাউনিয়ার মড়কখোলা পোল সংলগ্ন ডোমপট্টির বিপরীতে। বলেছিলাম যাব, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।  আশা করি - দাদু আজও ভালো আছেন, থাকবেন।

২১ অক্টোবর ২০১৪

অগ্নিযুগে এস এম তুষার এবং ...

© eon's photography / pap
মঠবাড়িয়া থেকে বরিশালে পড়তে আসা সৈয়দ মেহেদী হাসানের ব্যাপারে প্রথম উৎসুক হয়েছিলাম ‘অগ্নিযুগ’ পুনঃপ্রকাশ করায়। প্রথমে ধূসর আহমেদ নামের আরেক কবির সাথে যৌথ সম্পাদনায় কাজটি শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি একাই পত্রিকাটি কাঁধে নেন। এক সময় শ্রদ্ধেয় এস এম তুষার প্রকাশ করতেন ওই সাহিত্য পত্রিকা। তখন হাতে লিখে, ফটোকপি মেশিনে অনুলিপি করে বিলি হত ‘অগ্নিযুগ’। কি তুখোড় তেজে তিনি একের পর এক সংখ্যা বের করতেন তা যারা দেখেছেন, ভুলতে পারবেন না কখনো।

খুব বেশী আগের নয়, ১৯৯৯ থেকে ২০০৫’র মধ্যবর্তী সময়ের কথা। ওই সময়ে তুষারের সহচর হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো। তাই ভালো লেগেছিলো পত্রিকাটি পুনরায় মুদ্রণের খবরও। যদিও নতুন হাতে ‘অগ্নিযুগ’ চরিত্র বদলেছে। পরবর্তীতে জেনেছিলাম, স্থানীয় একটি দৈনিকে কাজ শুরু করেছেন মেহেদী। এরই মধ্যে গত বছরে লিটল ম্যাগাজিন আগুনমুখা’র সম্পাদক ও প্রকাশক নাজমুল শামীম আর কবি রূমান শরীফের কল্যাণে তার সাথে সাক্ষাত হয় আমার। সেদিন দুপুরে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে তার হাতে ছিলো নিজের কবিতার বইয়ের পাণ্ডলিপি। চেয়ে নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা পড়লাম।

সেই সামান্য পাঠ, ক্ষণিকের সাক্ষাত আর আলাপে মেহেদীকে কেমন লেগেছে বা তাকে কোনো বিশেষ মতাদর্শধারী মনে হয়েছে কি’না তা নিয়ে আলোচনা এ লেখায় অপ্রাসঙ্গিক। সেদিনের পরে তার সাথে আলাপ হয়েছিলো ফেসবুকে। ইনবক্সে এস এম তুষারকে নিয়ে লেখা চেয়েছিলেন। কাজের চাপে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলাম তখন। তার উপরে যখন জানলাম লেখাটি ‘অগ্নিযুগ’ নয়, স্থানীয় একটি দৈনিকের সাহিত্য পাতার জন্য চাওয়া হচ্ছে; উৎসাহ হারালাম।

সব মিলিয়ে খানিকটা অনিচ্ছায় যে লেখাটি তৈরী হলো তা প্রকাশ করা হবে বলে আমার মনে হয়নি। কিন্তু লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো। পাপ’র পাঠকদের জন্য সেটি নীচে তুলে ধরলাম।

তিনি এক বোধ জাগানিয়া বাতেনী স্রোত

যদি ঈমানদার না’ও হন, তবুও বিশ্বাস করুন- এস এম তুষার দুই লাইনের ছড়া নন; তিনি মহাকাব্য। এটা বুঝতে পারার পর থেকে তাকে আর ফরমায়েশী লেখার সংক্ষিপ্ততায় আটকানোর তাগিদ জাগে না কোনো। তার মতো আরো অনেকে আছেন এমন, যাদের নিয়ে স্বস্তালাপে আগ্রহী হয় না মন। তবুও লিখতে হয়েছে, হচ্ছে বা হবে হয়ত আরো। যদিও না লিখলেও কিছুই যাবে আসবে না কারো। সম্ভবত তারাও চায় না এমন আত্ম-প্রচার। কারণ, তারা বা তুষার মূলত বোধ জাগানিয়া এক বাতেনী স্রোত, যা অবিরত তাওয়াফ করছে আদি তীর্থভূমি চন্দ্রদ্বীপ বা পুরো বঙ্গদেশ। যার প্রভাবে সৃষ্ট দুরন্ত হাওয়ার বলয় জাগিয়ে তোলে তাদের সত্ত্বা, যারা বাজারকে পাশ কাটিয়ে চলার সাহস রাখে। অর্থাৎ তুষার ও তার সমমনারা বাজারী এ প্রচারণার উর্ধ্বে ওঠা প্রাণ। তবুও সাহিত্যকণ্ঠের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ। এ পাতার সম্পাদক কবি সৈয়দ মেহেদী হাসানের দায়িত্ববোধের কারণে একজন নতুন পাঠকও যদি এস এম তুষারকে চেনেন, তার বোধ ও কমের্র ব্যাপারে আগ্রহী হন; সেই’তো প্রাপ্তি। মেহেদীর এই বোধটাও আমার খুব চেনা। ওটা বেঁচেই যে টিকে থাকেন, মহান সাজেন বাজারী মিডিয়ার মালিকেরা। তারুণ্যের এ তাজা বোধ তাদের অন্যতম হাতিয়ার। বরিশাল থেকে বার্লিন, সর্বত্র একই অবস্থা বিরাজমান। প্রতিষ্ঠান, বা তারও নেপথ্যের শক্তি - মানে মালিকেরা শ্রমিকের সবটুকুই কেড়ে নেয়, এমনকি বোধটুকুও। কর্মনিষ্ঠ শ্রমিকটি এরপরও হয়ত মাস গেলে বেতন পায় না নিয়মিত। অথবা পেলেও তার পরিমাণ প্রকাশ করতে পারেন না কখনো। এ কোনো ক্ষোভের কথা না, বাস্তবতা। বরিশালের কোনো দৈনিক পত্রিকা এ নিয়ম ভেঙে চলবে তা আজও আশা করি না। তবে আশাবাদী হই, ওই বাস্তবতায়ও স্বপ্নালু চোখগুলো দেখে। যে চোখগুলোয় জ্বলে এস এম তুষারের দৃষ্টি। আজীবন বঞ্চিতদের কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি। চেয়েছেন তামাম মুখোশ খুলে দিতে। যে কারণে বাজারী মিডিয়ায় টিকতে পারেননি, বা আপোষ করে টিকে থাকতে চাননি। হতে চাননি কারো মুখোশের উপাদান। নিভৃতে সার্বজনীন বোধ বা আত্মপোলব্ধি জাগানিয়া সুর গাঁথায়ই ভালো লাগা তার। আজও গেঁথে যাচ্ছেন। বাতাসে কান পাতলেই শুনি তিনি গেয়ে যাচ্ছেন। সহজিয়া ঢঙে ব্যাখ্যা করছেন সব আদি পাঠ।
শোনো কালো মেয়ে...
বড় সড়কের ঘন্টা বাজানো বুড়ো
মরে গেল শেষরাতে
আফ্রিকার -
পথে পথে হাঁটবে না
বুড়ো সায়মন আর
বলবে না কোনদিনও
উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগের কথা
শোনো কালো মেয়ে..
আমি সেই কন্ঠস্বর
যা মিশে থাকে ঘনকালো
অরণ্যের লতায় পাতায়
ঝিলের ওই টোল খাওয়া পানিতে
হরিনের মুখ রাখার ভঙ্গীমায়
উটের গলার - ঘন্টার ধ্বণিতে
শোনো কালো মেয়ে..
বড় সড়কের ঘন্টা বাজানো বুড়ো...
থেমে যান তুষার। বিড়িতে সজোরে দম মারারও আওয়াজ শোনা যায়। ক্ষণিকের নিরবতা ভেঙে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন শুরু করেন। - ‘সভ্যের বর্বর লোভ নগ্ন করল তোমার আপন নির্লজ্জ অমানুষতা / তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকূল পঙ্কিল হল ধূলি / তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে / দস্যু পায়ের কাঁটা মারা জুতোর তলার / বিভৎস কাদার পিন্ড / চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাস।’ ফের শুরু করেন গান।
শোনো কালো মেয়ে
শত্রুর বন্দুকের ছায়ায় ছায়ায়
বেড়ে ওঠা সন্তান
তোমার কন্ঠে খোঁজে
কালো নিগারের গান
যে গানের সুরে সুরে
পাথুরে পাহাড় ভাঙে
হেনরীর হাতুরী
ভার্জিনিয়ার বুকে আর
কাতাঙ্গা প্রদেশে
গনহত্যার পর
কালো মৃতদেহগুলো
জোৎস্নায় স্নান করে
শোনো কালো মেয়ে...

জয়তু এস এম তুষার, জয়তু মেহনতি জনতা।

লেখাটি প্রকাশের সাহস মুগ্ধ করেছিলো। সেই সাথে মেহেদীর চাকরির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কাও জেগেছিলো মনে। আর তা যে নেহাত অনুমান ছিলো না, তা’ও দ্রুতই টের পেলাম। গত ১৬ অক্টোবর (২০১৪) দুপুর একটার দিকে তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নীচে তুলে ধরা হল।
“আমি লোকাল পত্রিকার সাংবাদিক। এর চেয়ে পতিতাপল্লীর দালালিও ভালো বা মর্যাদার। সাংবাদিক বলতে এখানে মালিক পক্ষের মনোরঞ্জন করে চলাটাই শেষ কথা। যে পারবে না সে সাংবাদিক না। বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক কলমের কণ্ঠর জন্ম থেকেই সাথে ছিলাম নগন্য সাংবাদিক বা দালাল হিসেবে। সর্বশেষঃ শনিবারের সাহিত্যকণ্ঠ, বুধবারের বিঞ্জান, প্রতিদিনের অবাক খবর, হুদাই বেহুদা বিভাগগুলো দেখতাম। মনে প্রাণে কষ্ট করে চালাতাম। তার উপরে দৈনিক স্পেশাল, বা ক্রাইম নিউজ দিতে হত। তবে মনোরঞ্জন করতে পারলাম না মালিক পক্ষকে। পরাজিত হলাম আমিই। ছেড়ে দিলাম দৈনিক কলমের কণ্ঠ। সাহিত্যজনরা মাফ করবেন, আপনাদের সাহিত্যকণ্ঠ আর বের হবে না। হলেও সাহিত্য সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান থাকছে না।”
কিছুক্ষণ আগে (২১ অক্টোবর, ২০১৪) মুঠোফোনে মেহেদীর সাথে কথা বলে খানিকটা আশ্বস্ত হলাম। দৈনিক দেশ জনপদ নামের আরেকটি স্থানীয় পত্রিকায় তিনি চাকরি পেয়েছেন। আর ওদিকে এস এম তুষারও আবার লেখালেখি আর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। পুনর্জ্জীবিত করেছেন ব্রিটিশ আমলের এক সাংবাদিক সংগঠন। সেইসঙ্গে সময় দিচ্ছেন লিটল ম্যাগাজিন ও প্রকাশণী আগুনমুখা’কে।

এস এস তুষার ও তার ভাবশিষ্যরা, ভালো থাকুক সব সময় - এই প্রত্যাশা।

স্কেচঃ রাসেল আহমেদ

২০ অক্টোবর ২০১৪

পাপাত্মায় শুদ্ধতার গান

© avantgarde-metal.com
রচনাকালঃ জুন, ২০১১ (সম্ভবত)
পাপ না করলে; পাপবোধ কারো হয় না
পাপবোধ ছাড়া যে; শুদ্ধতা চেনা যায় না

পাপবোধ কারো হয় না; পাপ না করলে
শুদ্ধতা চেনা যায় না; পাপবোধ ছাড়া যে

শুদ্ধ হতে তাই; পাপী আগে হওয়া চাই
পাপী আগে হওয়া চাই; শুদ্ধ হতে তাই

পাপ, পাপ, খালি পাপ; পাপে পাপারণ্য
অবশেষে পাপবোধ জাগলেই তব ধন্য

পাপ যত করেছি অপরাধ বেড়েছে
অসুস্থ তাড়না সবই গিলে খেয়েছে
তবু পাপ করে যাই; হতে পাপীশ্বর
পাপ দেখে টলমল; শয়তানের ঘর

পাপ, পাপ, খালি পাপ; পাপে পাপারণ্য
অবশেষে পাপবোধ জাগলেই তব ধন্য

পাপী আগে হওয়া চাই; শুদ্ধ হতে তাই
শুদ্ধ হতে তাই; পাপী আগে হওয়া চাই

শুদ্ধতা চেনা যায় না; পাপবোধ ছাড়া যে
পাপবোধ কারো হয় না; পাপ না করলে

পাপবোধ ছাড়া যে; শুদ্ধতা চেনা যায় না
পাপ না করলে; পাপবোধ কারো হয় না

অস্থিরতাই স্থির করে দেয়; স্থির করে দেয় অস্থিরতাই
স্থির করে দেয় অস্থিরতাই; অস্থিরতাই স্থির করে দেয়
অস্থিরতাই স্থির করে দেয়; স্থির করে দেয় অস্থিরতাই
স্থির করে দেয় অস্থিরতাই; অস্থিরতাই স্থির করে দেয়
অস্থিরতাই স্থির করে দেয়; স্থির করে দেয় অস্থিরতাই

দ্রষ্টব্য:
‘এ ধরায় শুধু কবিরাই নবীর ফিলিংস বুঝবার পারে’
- এ’ও সদ্য প্রসূত এক ওহী; জন্মেছে কবির কাছে।

‘Becoming-Corpus’ Includes Dance and an Art Installation
© www.nytimes.com

১৯ ডিসেম্বর ২০১৩

প্রতিক্রিয়া বা স্ব-শিক্ষিত সাংবাদিকতা...

মামুন ভাই (শেখ মামুন), এত স্নেহ, এত ভালোবাসা কি কেউ ছাড়তে পারে? বোধ হয় নয়। আমি তো ভাই আর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স-মাষ্টার্স করিনি। স্ব-শিক্ষিত সাংবাদিক। এ কারণেই হয়ত সাংবাদিকতাকে শুধু পেশা হিসেবে কখনোই নিতে পারিনি। ওটা আমার নেশা। নয়ত টানা আট/নয় বছর শুধু সংবাদের পেছনে হন্যে হয়ে ছুটতে পারতাম না। এখনো ছুটছি, আজীবনই ছুটবো। তবে আর কোনো দিন চাকরি নয়, ফ্রি-ল্যান্স। অভিমানী মনে হলেও আমি তো এমনই। কোনো দিনই পেশাদার নই, আবেগী। তবু কেন যে আপনাদের কাছ থেকে এত ভালোবাসা পেয়েছি ! আর সাংবাদিকতা করতে এসে এত বেশী ভালো মানুষের দেখা আমি পেয়েছি, অন্য কোনো পেশায় থাকলে তা এত দ্রুত সময়ে সম্ভব হত কি’না; সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে।
 
বরিশালে মূলত দুলাল’দা (সৈয়দ দুলাল), স্বপন’দা (স্বপন খন্দকার) আর  লিটন’দার (লিটন বাশার) হাত ধরে সাংবাদিকতায় এসেছিলাম। এরপর ঢাকায় এসে আপনি ছাড়াও মঞ্জু ভাই (মোজাম্মেল হোসেন), একরাম ভাই (একরামুল হক), আশীষ'দা (আশীষ সৈকত), হুমায়ুন ভাই (হুমায়ুন সাদিক চৌধুরী), উত্তম’দা (উত্তম চক্রবর্তী) , মিঠু ভাই (নজরুল ইসলাম মিঠু), সম্রাট ভাই (আসাদুজ্জামান সম্রাট), বিপ্লব ভাই (সালেহ বিপ্লব), নিখিল’দা (নিখিল ভদ্র), পিয়াল ভাই (অমি রহমান পিয়াল), কামরান ভাই (কামরান রেজা চৌধুরী), লেবু ভাই (মহসিনুল করিম), লিটন ভাই (সাখাওয়াত লিটন), আমিন ভাই (আমিন আল রশীদ), সমর’দা (সমর সরকার) , মাকসুদ ভাই (মাকসুদুল হায়দার চৌধুরী), কামাল ভাই (খায়রুজ্জামান কামাল), সাহাবুদ্দিন ভাই (সাহাবুদ্দিন চৌধুরী), তারেক ভাই (তারেক সালমান), হারুন ভাই (হারুণ আল রশীদ), মামুন ভাই (মামুন নেছার), নাজনীন আপা (নাজনীন আখতার), গনি ভাই (গনি আদম), শামীমা আপা (শামীমা বিনতে রহমান), সুমন ভাই (সুমন মাহমুদ), বাছির ভাই (বাছির জামাল), সোহাগ ভাই (কাজী সোহাগ), সজল ভাই (সজল জাহিদ), সিরাজ ভাই (সিরাজুজ্জা্মান), সাজু (সাজিদুল হক)’সহ আরো যাদের সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে, তাদের সংস্পর্শই আমাকে ফি-দিন সাহসী করে তুলেছে। আপনাদের কারণেই আজ আমি স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা চিন্তা করতে পারছি।

আমার স্বভাব তো জানেনই। যে কাজটাই করি না কেন, আন্তরিকতার সাথে করার চেষ্টা করি। আর এ মুহুর্তে আমার মাথায় সিনেমার ভুত চেপেছে। এই অবস্থায় আমি যদি সার্বক্ষণিক সাংবাদিকতা করতে চাই তবে আমার গায়েও ফাঁকিবাজ সাংবাদিকের তকমা লেগে যাবে, যা আশাকরি আপনারও কাম্য নয়।

অবশ্যই জানবেন, পাশে আছি; আজীবনই থাকবো।
ভালোবাসি সাংবাদিকতা এবং একই পথে রক্ত ঘাম করা সহকর্মিদের।
এটি মূলত মামুন ভাইয়ের এফবি স্ট্যাটাস পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া বা তাকে লেখা একটি খোলা চিঠি। গত (৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২) সন্ধ্যায় তার দুটি একাউন্ট থেকেই পোস্ট করা ওই স্ট্যাটাসটিও এখানে তুলে ধরছি।
শেখ মামুন
জীবনের প্রথম চীফ রিপোর্টার ছিলো ইরাজ আহমেদ। প্রখ্যাত সাংবাদিক আহমেদ হুমায়ুনের বড় ছেলে।বাবার পরিচয় নয়, তার নিজের পরিচয়েই তিনি মহান, মহৎ। ঢাকার সাংবাদিকতা জীবনে আমার প্রথম শিক্ষক।বন্ধ হয়ে যাওয়া সাপ্তাহিক আন্বেষার রিপোটিং টিমের প্রধান ছিলেন তিনি। আমি ছিলাম তার এই টিমের সবচাইতে ছোট একজন সহযোদ্ধা। তার চাইতে মেধাবী বন্ধুবৎসল আন্তরিক প্রানবন্ত মানুষ এই জীবনে আর পাইনি। একে একে এখন পর্যন্ত ১৭ জন চীফ রিপোর্টার পেয়েছি। কিন্তু ইরাজ আহমেদ সবার উপরে। বাবার মতো, বড় ভাইয়ের মতো, আদর স্নেহ মমতা সবকিছুই দিয়েছেন তিনি। হঠাৎ একদিন অভিমান করে সাংবাদিকতা পেশাটাকেই গুডবাই জানিয়েছেন তিনি। তার মতো মানুষের এই পেশা ছেড়ে যাওয়াটা আমি আজো মেনে নিতে পারিনি।

একইভাবে পার্লামেন্ট রিপোটিং করতে এসে বছর দুইয়েক আগে পরিচয় হয় বরিশাল থেকে আসা শরীফ খিয়াম নামে এক তরুন সাংবাদিকের সঙ্গে। যেমন মেধাবী, তেমনি পরিশ্রমি। কাজ ছাড়া আর কোনও ধান্দা নেই ওর। একদিন হুট করে সেও পেশাটা ছেড়ে দিলো।

সেদিন শেষ দেখা হয়েছে ছবির হাটে। ওর এক ঘনিষ্ট বন্ধু মারা যাওয়ায় শান্তনা দিতে ছুটে যাওয়া। আলোচনার এক ফাকে বড্ড আভিমানী শরীফ খিয়ামকে বললাম, ভাই ফিরে আয়। এখানে যে আজ আযোগ্যদের বড় প্রভাব। যোগ্যরা একে একে বিদায় নিলে পেশাটা্র ওপরই যে মানুষের ধারণাটা একদিন বদলে যাবে।ফিরে আয় ভাই। ও বললো আমি ছাড়িনি। সাময়িক বিরতি নিয়েছি মাত্র। ফিরে আসবো আবার। আমি বললাম, কিছু শুনতে চাইনা। ফিরতে হবে সাংবাদিকতায়। কিছুই না বলে শুধু হাসলো ও।

খিয়াম, সংসদের সাংবাদিক লাউজ্ঞে আমি আমার পাশের চেয়ারটি ফাকা রেখেছি। তুই আসবি বলে আপেক্ষায় আছি। সংসদে বা সংসদের বাইরে যেখানেই হোক সহকর্মী হিসেবে তোকে পাশে দেখতে চাই। তুই পাশে থাকলে সাহস পাই মেধা ও আর সততার লড়াইয়ে।

ইরাজ ভাইর মতো তুইও পেশাটা ছাড়িসনা খিয়াম...
চিরকুটটি ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২ ফেসবুকে প্রকাশিত।
newsreel [সংবাদচিত্র]