Powered By Blogger

২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

চলছে আর্ট ক্যাম্প, আসছে উৎসব

আর্ট ক্যাম্পে ছাপচিত্র তৈরী করছে শিশুরা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ রাজধানীর পল্লবীতে শিশু কলাকারদের নিয়ে আর্ট ফেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। সেন্টার ফর এডভান্স নারচারিং এন্ড ভিজ্যুয়াল আর্ট স্টাডিজ (ক্যানভাস) এবং নেসন হাট লিমিটেডের আয়োজনে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য এই উৎসবে তিন থেকে পনেরো বছর বয়সী শিশুদের পাঁচশতাধিক শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
চলমান আর্ট ক্যাম্পের চিত্র
এরই অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কর্মশালা, ‘ক্যানভাস আর্ট ক্যাম্প ২০১৬’। পল্লবীর ৩২ নম্বর সড়কে ‘ক্যানভাস’ -এর ক্যাম্পাসে গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া চার সপ্তাহের এই ক্যাম্পে অংশগ্রহনকারীরা চারটি বিষয় হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে - কারু ও মৃত্তিকা শিল্প, স্থির ও ছাপচিত্র, চিত্রাঙ্কন ও রং এবং ভাস্কর্য ও সমন্বিত শিল্পকলা।

আর্ট ক্যাম্পে মাটি দিয়ে টেরাকোটা তৈরী করছে শিশুরা
প্রথম সপ্তাহে কারু ও মৃত্তিকা শিল্প বিষয়ক কর্মশালা চলাকালে শিশু শিক্ষার্থীরা মাটির টেরাকোটা, পুতুল, ফুল ও গিফট কার্ড তৈরী করেছে। এ বিষয়ের প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন শিল্পী শাহীন মোহম্মদ রেজা। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্থির ও ছাপচিত্র বিষয়ক কর্মশালা শুরু হয়েছে। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন শিল্পী নওরীন জাহান, মাহিন জয়েস এবং চলচ্চিচত্র নির্মাতা ও আলোকচিত্রী ফাহিম ফেরদৌস। প্রথম দিনে অর্ধশতাধিক ছাপচিত্র তৈরী করেছে অংশগ্রহনকারী শিশুরা।

‘ক্যানভাস আর্ট ফেস্ট ২০১৬’ শীর্ষক উৎসবটি শিশুদের জন্য নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও সকাল থেকে শুরু হবে উম্মুক্ত শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সঙ্গে থাকছে একমাস আগে থেকে শুরু হওয়া কর্মশালার প্রদর্শনী। কর্মশালা ও এই উৎসব সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এর উদ্দেশ্য শিশুশিল্পীদের মনোজগতের মনন ও ভাবপ্রকাশের বিজ্ঞানকে একটুখানি উসকে দেয়া। উৎসবের দিন উম্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে এর কোনো ফি নেই।

আর্ট ক্যাম্পে মাটি দিয়ে টেরাকোটা তৈরী করছে শিশুরা
প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০১৩) থেকেই ‘ক্যানভাস’ এই উৎসবটি আয়োজন করে আসছে। এবারও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন র্কাটুনিস্ট আহসান হাবীব, আনুশেহ আনাদিল, শিল্পী, কবি ও নির্মাতা টোকন ঠাকুর, মিডিয়াকর্মী এশা ইউসুফ, নির্মাতা সামির অহমেদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ আরো অনেকে। পুরস্কার বিতরনী পর্ব শেষে গান গাইবেন শোয়েব, রিজভী, কুয়াশাসহ আরো অনেকে। এর আগে সকালে গোষ্ঠ গান করবে কুষ্টিয়া থেকে আগত শিল্পীবৃন্দ। এছাড়াও থাকছে জলপুতলের পাপেট শো। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ক্যানভাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী মোস্তফা আলম (এফসিএ)।

এই উৎসবের সাথে সাথে যুক্ত হয়েছে রেডিও এবিসি, বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম । এর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করবে চৌরাস্তা মার্কেটিং এন্ড কম্যুউনিকেশন, অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টেশন করবে সেনাস্ত স্টুডিও। পেডিহোপ হসপিটাল থাকছে স্বাস্থ্য পরিচর্যা পার্টনার হিসেবে। এছাড়া গিফট পার্টনার হিসেবে থাকছে নাভানা।

২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

পুলিশ ছাড়া কেউ থাকবে না ...

লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড
‘বইমেলায় মানুষ নাই -
খালি পুলিশ আর পুলিশ’
- অমর একুশে বইমেলায় অবস্থানরত এক কবিবন্ধু মাত্রই বললেন, মুঠোফোনালাপে। তল্লাশীর অতিরিক্ততায় বিরক্ত অনেকে মেলায় না ঢুকেই চলে যাচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করলেন। আরেক অনুজ সাংবাদিকের অভিমত, ‘লেখক হত্যা আর প্রকাশক গ্রেফতারের বইমেলা আজ দৃশ্যতই নিরাপত্তার খোলসে বন্দী।’
মূহুর্তে মনে পরে যায় গত সন্ধ্যায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের মুখে শোনা কথাগুলো। তিনি অত্যন্ত বিনয় নিয়ে আমাদের বলেছিলেন, ‘আপনারা চলে যান। একটু পরই পুরো এলাকা পুলিশে পুলিশারণ্য হয়ে যাবে। আজ এখানে পুলিশ ছাড়া কেউ থাকবে না।’ অথচ বছরের পর বছর ধরে প্রতিটি ২০ ফেব্রুয়ারির বা মহান একুশের রাত আমরা - সমমনা বন্ধুরা টিএসসি এবঙ আশেপাশের এলাকায় কাটিয়েছি। গান, আড্ডা, শ্লোগান আর মানুষের দৃপ্ত মুখর থেকেছে পুরো এলাকা। এমনকী সেটা পাকিস্তানি ভাবাদর্শের ডানমনা (বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন) সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেও। এরপর সকালে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে, সারাদিন মেলায় কাটিয়ে রাতে বাসায় ফিরেছি। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি - সে সাধ একদমই মিইয়ে দিলো।
পুলিশের সাথে তর্ক করতে ইচ্ছে হলো না। কারণ জানি সে রাষ্ট্রীয় নির্দেশের দাস মাত্র। অর্থাৎ এখন রাষ্ট্রই চাচ্ছে না একুশের রাতটা আমরা এভাবে উদযাপন করি। জানি না রাষ্ট্রের পরিচালকরা ভুলে গিয়েছেন কী’না, একুশ কেবলই আনুষ্ঠানিকতার বিষয় না। এর সঙ্গেই আছে জড়িয়ে আছে এ জাতির, মানে বাঙালের জাতীয়তা বোধের চেতনা।
বাসায় ফিরতে ফিরতে খুব মনে পরছিলো - শৈশবে কাদামাটি বা ইট, কাঠ দিয়ে গড়া শহীদ মিনার, আলপনা আঁকা, ফুল চুরি, খালি পায়ে ছুটোছুটি - আরো কত কী। শুধু বার বার ভুলতে চেয়েছি, এখন এ দেশ চালাচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘অফিসিয়ালি’ নেতৃত্বদানকারী দলটিই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই দল আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন ভাবাদর্শের ‘পারপাস সার্ভ’ করছে তা সত্যি, একদমই ভাবতে চাইনি। কারণ আজকাল ভাবতেও ভয় লাগে।
newsreel [সংবাদচিত্র]