Powered By Blogger

১২ আগস্ট ২০১৫

সময় হুমকী আর হত্যালীলার

© eon's photography / pap
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের পাশে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঠিক পরদিন, ঘটনাস্থলের অদূরবর্তী ফুটপাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে গড়ে ওঠা ভাসমান বইয়ের দোকানের ছবি এটি। পাশাপাশি সাঁড়ির মুকুটরূপী এই বই তিনটি চিত্তাকর্ষক হোক বা না হোক, তাদের এ সহাবস্থানকে অর্থপূর্ণ ভাবাই যেতে পারে। আমার বিশ্বাসী মন অন্তত তেমনটাই ভাবে।  সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ছবিটি পুনরায় স্মরণ করালো। এমনিতেই আগস্ট এই পিতৃহন্তারক জাতির শোকের মাস। তার ওপরে চারিদিকে ধর্মের নামে যে হুমকী-ধামকি আর হত্যালীলা শুরু হয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ যে খুব বেশী স্বস্তিতে নেই তা বুঝতে মহাবিজ্ঞ হওয়ার কোনো দরকার নেই বোধকরি।
বরিশালের খবরটিও অনেকে জানেন নিশ্চয়ই। ‘জীবনানন্দ’ পত্রিকার সম্পাদক কবি হেনরি স্বপন, লিটল ম্যাগাজিন আরণ্যক, ক্যাম্পে ও অারক - এর সম্পাদক কবি তুহিন দাস, অগ্নিযুগ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদি হাসান এবং গনজাগরন মঞ্চ, বরিশালের মুখপাত্র নজরুল বিশ্বাসকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। এর মধ্যে সৈয়দ মেহেদি ছাড়া বাকি তিন ব্যক্তিই আমার সাবেক সহকর্মী। প্রিতম চৌধুরী আর চারু তুহিনের ব্যাপারে অবশ্য কোনো ধারনাই নেই আমার।
ইসলাম ধর্ম কায়েমের নামে "আনসার বিডি" - নামধারী যে গোষ্ঠী ওই ছয় জনকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে - তাদের কাছে জানতে চাই, পবিত্র কোরআনের কোন আয়াতের বলে আপনারা তাদের ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে কতলের মিশনে নেমেছেন? আমি শুধু সূরা মায়েদার ৩২ নম্বর আয়াতটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যেখানে পরম করুণাময় আল্লাহ বলছেন, “নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতিরেকে কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে রক্ষা করল।”

স্রষ্টা আপনাদের শুভ বুদ্ধি দিন, আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

newsreel [সংবাদচিত্র]