ছবিটি কুষ্টিয়া থেকে তোলা |
সিনেমাটোগ্রাফারস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রথম নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেহাল কোরাইশীরকে নিয়ে গত বছরের এই দিনেই লিখেছিলাম অনলাইন গণমাধ্যম নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’এ। আজ, মানে ২৪ জুন তার জন্মদিন।
দেশের টিভি ও বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে এই মানুষটি আদ্যপান্তে ঢাকারই ছেলে। জন্ম ১৯৭৯ সালে, মোহম্মদপুরের নূরজাহান রোডে পৈত্রিক বাড়িতে। বেড়ে ওঠাও সেখানে। মাঝে কয়েক বছর এদিক সেদিক থেকে গত বছর থেকে আবার সেখানেই তিনি থিতু হয়েছেন। এর আগে পড়াশুনাও করতেন বাসার পাশেরই স্কুল-কলেজে।
গত বছর এক আলাপে চিত্রগ্রাহক নেহাল তার পথ চলার গল্প শোনান। জানান আপন আকাঙ্খার কথাও। ছায়ানটে তবলায় তালিম নেয়া নেহাল তখন থিয়েটারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। এরই সুবাদে ১৯৯৬ সালে একটি প্যাকেজ নাটকে তার অভিনয়ের সুযোগ জোটে। দেওয়ান বাচ্চু পরিচালিত ওই নাটকে কাজ করতে গিয়েই তিনি প্রথমবারের মতো অডিও ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজের স্বাদ পান। তুমুল আগ্রহে তখনই বাচ্চুকে জানান, তিনি পর্দার সামনে নয়– পিছনে কাজ করতে চান। এরপর টানা দু’বছর তিনি বাচ্চুর সহকারি হিসেবে কাজ করেন।
সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করতে করতেই নেহাল বুঝতে পারেন, ক্যামেরা যন্ত্রটার প্রতি তার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। যারই প্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালে বাচ্চুকে তিনি তার এ আগ্রহের কথাও জানান। এ সময় বাচ্চু তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। গণ সাহায্য সংস্থা (জেএসএস) নামের একটি এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) পরিচালিত এক প্রশিক্ষণে অংশ নেন নেহাল। সেখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন পঙ্কজ পালিতকে। যিনি এখন তার সভাপতি। যে কারণে সিনেমাটোগ্রাফারস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রথম নির্বাহী কমিটিকে কেউ গুরু-শিষ্যের কমিটি বলতে চাইলেও তা ভুল হবে না।
প্রশিক্ষণ শেষে জেএসএস’র সাথেই নেহাল দু বছর কাটিয়ে দেন। এরপর যুক্ত হন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাবলাইম মিডিয়ার সঙ্গে। সেখানে কাজ করেন আরো প্রায় দু’বছর। অবশেষে ২০০২ সালে তিনি ফ্রিল্যান্স সিনেমাটোগ্রাফার (স্বাধীন চিত্রগ্রাহক) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সেই থেকে এখন অবধি স্বাধীন ভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তার কাজের তালিকায় সংযুক্ত হয়েছে অজস্র নাটক, প্রামাণ্যচিত্র আর বিজ্ঞাপন।
‘না মানুষ’ আর ‘জিরো ডিগ্রী’ নামের দুটি সিনেমায় পালন করেছেন ডিওপি (ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফী)’র দায়িত্ব। দুটি চলচ্চিত্রেরই পরিচালক ছিলেন আলোচিত নির্মাতা অনিমেষ আইচ। এর মধ্যে ২০১১ সালে চিত্রায়িত প্রথম চলচ্চিত্রটি প্রযোজক আর পরিচালকের সমন্বয়হীনতার কারণে মুক্তির মুখ দেখেনি। এছাড়া এক নারী পরিচালকের নতুন সিনেমায় তার কাজ করার কথা ছিলো।
সিনেমাটোগ্রাফারস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির প্রথম সাধারণ সম্পাদক নেহাল বলেছিলেন, ‘চিত্র্রগ্রাহকদের পেশাগত যে কোনো সমস্যায় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার পাশে থাকতে চাই।’