Powered By Blogger
মহানবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মহানবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

স্মরণে আজ আলীর শাহাদাত

পারস্যের শিল্পীদের তুলিতে মাওলা আলী (রা.)
যে ব্যক্তির তরবারীর আঘাতে তিনি শহীদ হয়েছিলেন তার নাম ছিলো আব্দুর রাহমান ইবনে মুলযেম। উনিশে রমযানে তাকে আঘাত করা হয়, আর একুশে রমযানে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। এর মধ্যবর্তী সময়টাতে তিনি ইচ্ছে করলেই এর প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা নেননি। কারণ প্রতিশোধের মতো ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকে তিনি সবসময় দূরে থেকেছেন। তাই তরবারীর আঘাত খেয়েও অপেক্ষা করেছেন। এমনকী মুলযেমের যথার্থ যত্ন নেয়া হচ্ছে কিনা বা তার খাবার-দাবারের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা; সে খোঁজও নিয়েছেন। এমনকী শহীদ হবার আগে তিনি বলে গিয়েছিলেন- ‘আমি যদি মারা যাই, তাহলে মুলযেম আমাকে যেভাবে তরবারি দিয়ে একটিমাত্র আঘাত করেছে, ঠিক সেভাবে তাকেও একটিমাত্র আঘাত করবে, এর বেশি নয়।’

যার কথা বলছিলাম তিনি সুন্নী মুসলিম মতে ইসলামের শেষ খলিফা এবং শিয়া মুসলিম মতে ইসলামের একমাত্র বৈধ খলিফা হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)। আজ ২১ রমজান, তার শাহাদাত দিবস। যদিও অনেক সুন্নী আলেম দাবি করেন তিনি ১৮ বা ২০ রমজান ইন্তেকাল করেছেন। তবে শিয়া-সুন্নী উভয় মতেই আলীর শাহাদাতের সাল ৪০ হিজরী। খ্রিস্টীয় পঞ্জিকা অনুসারে শিয়া মতে তার মৃত্যু হয়েছে ৬৬১ সালের ২৯ জানুয়ারি, আর সুন্নী মতে ২৬ বা ২৮ জানুয়ারি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। হজরত হাসান ইবনে আলী (রা.) তার জানাজায় ইমামতি করেন। কুফার নাযাফে তাকে দাফন করা হয়। যেখানে আজও তার মাযার রয়েছে।

হযরত আলী (রাঃ) সুন্নীদের চেয়ে শিয়াদের কাছে বহুগুন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিয়া মতবাদ গড়েই উঠেছে আলীকে কেন্দ্র করে। তিনি শিয়াদের ১২ ইমামের প্রথম ইমাম। গুরুত্বের দিক থেকে শিয়াদের কাছে রাসূলের পরেই আলীর স্থান। অনেক শিয়া মুসলিম আরো মনে করেন, গুরুত্বের দিক থেকে ইমাম আলীর স্থান মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বাদে অন্যান্য নবীদের চেয়েও উপরে। বহুকাল আগে শিয়াদের মধ্যে এক চরমপন্থী মাঝহাব ছিলো। সেই মাজহাবের নাম ছিলো গুরাব্বিয়া। তাদের দাবি ছিলো, আল্লাহ আলী ইবনে আবু তালিবকে নিজের শেষ নবী বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জিব্রাইল ভুল করে মোহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহকে ওহী দিয়ে দেন। এই কারনে ওই শিয়ারা জিব্রাইলের সমালোচনা করতেন। এই মাঝহাব অবশ্য এখন আর নেই। সুন্নীরা যেমন কাদিয়ানী আহমাদিয়াকে কুফরী মাজহাব ও বাতিল ফিকরা মনে করে; শিয়ারাও তেমননি গুরাব্বিয়া মাজহাবকে কুফরী মাজহাব ও বাতিল ফিকরা হিসেবে গণ্য করে। এখানে আরো উল্লেখ্য, শিয়ারা আবু বকর, উমর ও উসমানকে মোটেই গুরত্ব দেয় না। তাদের সবকিছু রাসূল (সাঃ), আলী (রাঃ) ও বাকি ১১ ইমাম কেন্দ্রিক। তাদের প্রথম ইমাম আলী ও শেষ ইমাম মাহদী।

হযরত আলীর পিতার নাম আবু তালিব ও মাতার নাম ফাতেমা বিনতে আসাদ (রাঃ)। তিনি মহানবী (সাঃ) এর চাচাতো ভাই এবং সর্বকনিষ্ট কন্যা ফাতেমা জোহরার (রাঃ) স্বামী। শিশু বয়স থেকে রাসূলের সাথেই থাকতেন। দারিদ্রের কারনে চাচা আবু তালিবের পক্ষে যখন সন্তানদের ভরন পোষন করা সম্ভব হচ্ছিলো না বলে রাসূল চাচাতো ভাইদের মধ্যে আলীর দায়িত্ব নেন। এরই সুবাদে মহানবী (সাঃ)’র প্রথম স্ত্রী হযরত খাদিজা (রাঃ) পর আলীই হন ইসলামের দ্বিতীয় এবং যুবকদের মধ্যে প্রথম মুসলমান। কৈশোরে (রাঃ) ইসলামে দীক্ষা নিয়ে তিনি এ আদর্শ প্রচারে ব্রতী হন। এ বিষয়ক এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘একদিন তিনি (আলী) সবিস্ময়ে দেখছিলেন, রাসুলে খোদা (সাঃ) ও খাদিজা (রাঃ) উপুড় হয়ে মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে আছেন। অবাক হয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কী? রাসুল (সাঃ) উত্তর দিলেন, ‘এক আল্লাহর ইবাদত করছি। আর তোমাকেও দাওয়াত দিচ্ছি।’ হজরত আলী (রা.) সে দাওয়াত কবুল করে মুসলমান হয়ে গেলেন। তখন তাঁর বয়স নয় থেকে ১১ বছরের মধ্যে।’

আলী (রাঃ) ছিলেন প্রবল সাহসী। যেই রাতে মহানবী (সাঃ) মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেছিলেন, সেই রাতে নিহত হওয়ার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তিনি নবীর বিছানায় শুয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী যোদ্ধা ছিলেন। ইসলামের পক্ষে অসি হাতে বীরত্বের জন্য মহানবী (সাঃ) তাকে ‘আসাদুল্লাহ’ (আল্লাহর সিংহ) উপাধি দেন। এছাড়া তাকে আমেরুন মুমেনীন নামেও ডাকা হতো। অনেকে নিশ্চয়ই জানেন, ইসলামে তাৎপর্যপূর্ন এক তলোয়ারের নাম জুলফিকার। এক সময় এটি ছিলো এক ‘কাফের’ -এর। তার নাম মুনাবা বিন হাজাজ। বদর যুদ্ধে তাকে মুসলমানেরা হত্যা করে। তখন জুলফিকার মুসলিম সেনাদের নিয়ন্ত্রনে আসলে রাসূল এটি নিজের কাছে রাখেন। ওই যুদ্ধেই আলী ৩৬ জন ‘কাফের’ হত্যা করলে মহানবী (সাঃ) বিশেষ তলোয়ারটি তাকে বিশেষ বীরত্বের জন্য উপহার হিসেবে দেন।

আরেক যুদ্ধ শেষে আলী নিজের জন্য রাসূলের মেয়ে ফাতেমা (রাঃ) কে চান। এর আগে আবু বকর এবং উমরও ফাতেমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাসূল (সাঃ) রাজি ছিলেন না। আলী প্রস্তাব দিলে তিনি ফাতেমাকে জানান। আলী ছিলেন অনেক সুদর্শন যুবক। ফাতেমা আলীকে পছন্দ করলে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় খাতুনে জান্নাতের বয়স ছিল ১৫ বছর পাঁচ মাস ১৫ দিন। আর হজরত আলীর বয়স হয়েছিল ২১ বছর পাঁচ মাস। কোনো কোনো লেখায় অবশ্য তাদের বিবাহকালীন বয়স যথাক্রমে ১৪ ও ২১ উল্লেখ করা হয়েছে।

শিয়া আলেমদের একাধিক লেখায় রয়েছে, তৎকালীন সময়ে সন্ধি স্থাপনের জন্য মেয়েদের উপহার হিসেবে দেয়া হতো। সে অনুযায়ি একবার আলীর সাথে সন্ধি করতে বিধর্মীদের এক প্রতিনিধি নিজের মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেন। ফাতেমা এটা জানতে পেরে নিজের বাবার কাছে নালিশ দেন। তখন মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘ আলী যদি আল্লাহর শত্রুর মেয়েকে বিয়ে করে তবে সে যেনো মনে রাখে, যে আমার মেয়েকে কষ্ট দিবে সে আমাকে কষ্ট দিবে।’ এ কথা শোনার পর আলী আর সেই মেয়েটিকে বিয়ে করেন নি। আলী যে রাসূলের নির্দেশের বাইরে এক চুল নড়তেন না সেটাই এই ঘটনার মাধ্যমে ফুটে উঠে।

হযরত আলীর মোট ১১ সন্তান ছিলেন। এর মধ্যে হজরত ফাতেমা (রাঃ)-এর গর্ভে হাসান, হুসাইন ও মহসিন নামে হজরত আলীর তিন পুত্রসন্তান এবং জয়নাব ও উম্মে কুলসুম নামে দুটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করেন। মহসিন (রাঃ) বাল্যকালেই ইন্তেকাল করেন। হজরত হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-এর বংশধররা সৈয়দ নামে পরিচিত ছিল। হজরত ফাতেমা (রাঃ)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আলী (রাঃ) অন্যত্র বিয়ে করেন এবং তার ঔরসে আরো সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।

কোনো কোনো সুন্নী আলেম দাবি করেন, হযরত আলীর খুবই ঘনিষ্ট ছিলেন উমর ও উসমান। ওনারা এত ঘনিষ্ট ছিলেন যে আলী নিজের দুই সন্তানের নাম রেখেছিলেন উমর ও উসমান। তবে মহানবীর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার (রাঃ) সাথে মেয়ের জামাই আলীর সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিলো না। আসছি সে গল্পে।

২৩ জুন ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রাঃ) শহীদ হওয়ার ঠিক পাঁচ দিন পেরিয়েছে। রাজনৈতিক উত্তেজনায় মদিনার সর্বত্র তখন তুমুল নৈরাজ্য আর বিশৃংখলা। এমন ডামাডোলের মাঝেই মিসরীয় বিদ্রোহীদের নেতা ইবনে সাবা রায় দেন, হযরত আলী (রাঃ) একমাত্র খলিফা হওয়ার অধিকারী। কারণ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) তার সপক্ষে একটি ওসিয়্যত করেছিলেন। অতঃপর ওসমান (রাঃ) এর মৃত্যুর ষষ্ঠ দিনে, ২৪ জুন আলী (রাঃ) কে চতুর্থ খলিফা নির্বাচিত করা হয়। মদিনার জনতা তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করেন।

খলিফা হওয়া পর তিনি ইসলামী রাষ্ট্রের রাজধানী মদিনা থেকে ইরাকের কুফায় সরিয়ে নেন। এ সময় তার মাথার ওপরে ছিলো হযরত উসমান(রাঃ)’র হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি দেয়ার দাবি। হযরত আলী (রাঃ) ঘোষণা করেন, তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার রাষ্ট্রে শান্তি-শৃংখলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এরপর তিনি হযরত উসমান (রাঃ)’র হত্যাকারীদের বিচারের সম্মুখিন করতে পারবেন। আলী (রাঃ)’র এমন ঘোষণা মানতে নারাজ ছিলেন মহানবীর ঘনিষ্ট সাহাবি হযরত তালহা (রাঃ), হযরত যুবাইর (রাঃ)’সহ আরো অনেকে। তারা সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করা শুরু করেন। হযরত আয়েশা (রাঃ), যিনি আলীর প্রকৃত মনোভাব সম্পর্কে অবগত ছিলেন না, তিনিও হযরত উসমানের হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে তালহা (রাঃ) ও যুবাইর (রাঃ)’র সাথে যোগ দেন। তিনজনে মিলে বসরার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী নিয়ে রওনা হন।

খবর পেয়ে আলী হযরত আলী (রাঃ) যুদ্ধ এবং রক্তপাত এড়ানোর যারপরনাই চেষ্টা করেন। কিন্তু তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এক দুর্ভাগ্যজনক যুদ্ধ হয়। যদিও তালহা (রাঃ) ও যুবায়ের (রাঃ) যুদ্ধের পূর্বেই সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন। হযরত আয়েশার (রাঃ) সৈন্যরা পরাজিত হয়।তবুও আলী (রাঃ) তাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন এবং তার নিরাপত্তার খেয়াল রাখেন। তিনি তার ভাই মোহাম্মদ বিন আবু বকর (রাঃ)’র রক্ষাবেষ্টনীতে তাকে মদিনায় পাঠিয়ে দেন। এটি ‘উটের যুদ্ধ’ নামে খ্যাত। কারণ হযরত আয়েশা(রাঃ) যুদ্ধের সময় উটের উপর বসে সৈন্য পরিচালনা করেছেন। পরবর্তীতে হযরত আয়েশা (রাঃ) জীবনভর হযরত আলী (রাঃ)’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অনুতপ্তা ছিলেন। যুদ্ধে উভয় পক্ষে অংশ নেয়া ১০ হাজার সাহাবি শহীদ হন।

শিয়া মতে ‘মাওলা’ খ্যাত আলী (রাঃ)’র জন্য এই যুদ্ধটি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক পরীক্ষা। আবু মরিয়ম (রাঃ) থেকে বর্নিত, ‘(ও আলী), তিনি (আয়েশা) রাসূলের দুনিয়া ও আখিরাতের স্ত্রী। আল্লাহ আপনাকে পরীক্ষা করছেন। আপনি কি আল্লাহকে মান্য করেন নাকি তাকে (আয়েশা)।’ বিভিন্ন সাহাবির বর্ণিত হাদিস মতে আলী সেই দশজন সৌভাগ্যশালীদের একজন মহানবী (সাঃ) নিজে যাদের জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছিলেন।

হজরত আলী (রাঃ) বাল্যকালে কিছু লেখাপড়াও শিখেছিলেন। তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ)’র ‘কাতেবে ওহি’ দলের অন্যতম সদস্য। তার মধ্যে অসাধারণ কাব্যপ্রতিভাও ছিলো। বিভিন্ন সময় তিনি অনেক কবিতা রচনা করেছেন। তার রচনায় মূলত দ্বীনে ইসলামের মহিমাই ফুটে উঠেছে। সিহাহ সিত্তার গ্রন্থাবলিতে তার কবিতার কিছু উদ্ধৃতি লক্ষ করা যায়। ‘দিওয়ানে আলী’ শিরোনামে হজরত আলীর কবিতাসংগ্রহকে আরবি সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ মনে করা হয়। একইসঙ্গে আলী (রাঃ) ছিলেন একজনসুবক্তা । ‘নাহজুল বালাগা’ নামে তার বক্তৃতার একটি সংকলনও রয়েছে। যেখানে তার ভাষাজ্ঞান ও বাগ্মিতার প্রমাণ মেলে।

৪০ হিজরি রমজানের সেই ভোরে ফজরের নামাজ আদায়কালে সিজদারত আলী (রাঃ)’র ওপর তরবারীর আঘাত হানা হয়েছিলো। আঘাতকারী আব্দুর রাহমান ইবনে মুলযেম ছিলেন ইসলামের তৎকালীন চরমপন্থী ‘খারেজি’ গ্রুপের সদস্য। মূলযাম যখন তার তরবারী বসিয়ে দিচ্ছিলেন , তখন হযরত আলী মুখ থেকে যে শব্দকটি বেরিয়েছিলো, তা ছিলো-‘فزت و ربی الکعبه অর্থাৎ ‘কাবার রবের শপথ আমি সফলকাম হলাম।’ পরে গোপনেই দাফন করা হয় আলী (রাঃ)’কে, তা’ও মূলত ওই উগ্রপন্থীদের ভয়ে। খারেজীরা বলতেন, আলী মুসলমানই নন। তাই ভয় ছিলো তারা কবর থেকে তার লাশ বের করে অপমান করতে পারে। এই ভয়ের কারণে প্রায় একশ বছর নবী পরিবারের ইমামেরা ব্যতীত কেউই জানতেন না আলীকে কোথায় দাফন করা হয়েছে।

সেই ২১ রমযানের ভোরে কাউকে নকল লাশ সাজিয়ে কিছু ব্যক্তির হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো মদিনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। যাতে লোকজন মনে করে আলী (রাঃ) কে মদিনায় দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু ইমাম আলীর সন্তানেরা ও কিছু সংখ্যক অনুসারী – যারা তার দাফনে অংশগ্রহণ করেছেন; তারা জানতেন তাকে কোথায় দাফন করা হয়েছে। বর্তমানে কুফার নিকটে নাজাফে যে স্থানে আলীর সমাধি রয়েছে সেখানে তারা গোপনে যিয়ারতে আসতেন। পরে খারেজীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং আলীর প্রতি অসম্মানের সম্ভাবনা রহিত হয়, তৎকালীন ইমাম সাদিক (আঃ) তার এক সাহাবী সাফওয়ান (রহঃ) কে সে স্থান চিহ্নিত করে গাছ লাগিয়ে দিতে বলেন। এরপর থেকে সবাই জানতে পারেন ইমাম আলীর মাযার সেখানে।

* লেখাটি গত ২৭ জুন (২১ রমজান) নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’এ প্রকাশিত হয়েছিলো।
newsreel [সংবাদচিত্র]