Powered By Blogger
জহির রায়হান. Zahir Raihan লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জহির রায়হান. Zahir Raihan লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

৩০ জানুয়ারী ২০১৫

জহির রায়হান অন্তর্ধানের ৪৩ বছর পরও...

জহির রায়হান
৩০ জানুয়ারি, ১৯৭২। দেশের সিনেমা পাড়ায় ফুরফুরে উৎসবের আমেজ। কারণ, প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলাদেশের এফডিসিতে এসেছেন ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নার্গিস, ওয়াহিদা রহমান এবং সঙ্গীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর । তাঁদের নিয়েই যখন সবাই ব্যস্ত তখন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার জহির রায়হান গিয়েছিলেন সহোদর কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের খোঁজে, মিরপুরে। সেই যে গেলেন, আর ফিরলেন না তিনি। আজও তাই এই দিনে আমরা শোকগ্রস্থ হই।
জহির রায়হান - মূলত এক অবিস্মরণীয় নাম। কলম ও ক্যামেরাই ছিলো যার যুদ্ধাস্ত্র। আপন কর্মের প্রতিটি পরতে তিনি অন্যায়, অমানবিকতা, দুঃশাসন, সামাজিক আধিপত্য ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।  তাঁর প্রস্থান বা মৃত্যু নিয়ে গত ৪৩ বছরে বহু গল্প শোনা গেছে। বিএনপি-জামায়াতের মতাদর্শীরা দাবি করেছে, তাঁর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রে স্বার্থক্ষুণ্ন হওয়ার ভয়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা তাকে হত্যা করেছে। আর তাঁদের সহায়তা করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্তা ‘র’। খোদ শেখ মুজিবুর রহমানেরও সাঁয় ছিলো তাতে। তবে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা ও আওয়ামী পন্থীদের বক্তব্য ছিলো ভিন্ন। তাঁরা বলেছেন, জহির নিহত হয়েছিলেন ছদ্মবেশে থাকা পাকিস্তানী সেনা, বিহারী বা রাজাকার-আলবদরদের গুলিতে। কখনো আবার শোনা গেছে সিআইএ’র হাত ছিলো ওই ঘটনার পিছনে। এই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তবে রহস্য আজও রহস্যই থেকে গেছে।


আত্মসমর্পন না করা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একাংশ, তাঁদের মদদপুষ্ট রাজাকার-আলবদর এবং সশস্ত্র বিহারীরা তখনও মিরপুর দখল করে রেখেছিলো। তাদের মাঝে যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধস্পৃহাও তখন প্রবলভাবেই ছিলো। যে কারণে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর থেকে অনেক বাঙালি নিশ্চিন্ত মনে মিরপুরে নিজের বাড়িতে ফিরতে শুরু করলেও পরে তাঁদের কাউকে আর পাওয়া যায়নি। মূলত ১৯৬৫ থেকে ৭০ সালের মধ্যে মিরপুরে বিহারীদের জন্য ৩৬ হাজার বাড়ি বানানো হয়েছিলো। এক, দুই, ছয় এবং ১০, ১১, ১২ নম্বর ছিলো পুরোপুরি বিহারী অধ্যুষিত এলাকা। ৭১’র আগেই সেখানে দেড় লাখ বিহারী ভোটার ছিলেন। তাঁদের মোট মংখ্যা ছিলো প্রায় চার লাখ। আর ১৬ ডিসেম্বরের পর যুক্ত হয়েছিলো আরো কয়েক লাখ। মূলত পুরান ঢাকা, মোহম্মদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বিহারীরা দলে দলে মিরপুরে এসে আশ্রয় নিয়েছিলো।
মিরপুরে ১৯৬৫ সালেও বাঙালি-বিহারী দাঙ্গা হয়েছিলো। এছাড়া টুকটাক ঝামেলা লেগেই থাকত। আর এসব ক্ষেত্রে বিহারীদেরই মদদ দিত পশ্চিমারা। ৬৯, ৭০ ও ৭১’এ পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স)’র গাড়িতে করে অস্ত্র আসত বিহারীদের কাছে। সবমিলিয়ে মিরপুর ছিলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি। অনলের সাথে এ নিয়ে আলাপকালে মুক্তিযোদ্ধা ফকির শফিউদ্দিন বলেছিলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার সাত দিন পর আমি মিরপুরের চেয়ারম্যান হই এবং আবেদন করি মিরপুর থেকে হিন্দুস্থানী বিহার রেজিমেন্ট সরানোর জন্য। কারণ এরা মিরপুরের বিহারীদের স্বগোত্রীয়। সুতরাং এই রেজিমেন্টের ভরসায় বাঙালীরা মিরপুরে ফিরে আসতে সাহস পাচ্ছে না।’ অমন পরিস্থিতিতেই জহির রায়হান খবর পেয়েছিলেন তাঁর ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারসহ বেশ ক’জন বুদ্ধিজীবি মিরপুরের ১২ নম্বর সেকশনের একটি বাড়িতে বন্দী আছেন। তাঁকে উদ্ধারেই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রথম আওয়ামী লীগ শাসনামলে (১৯৯৬-২০০১) আবিস্কৃত হয়েছিলো মুসলিম বাজার বধ্যভূমি। ১৯৯৯ সালের ২৭ জুলাইয়ে মিরপুর ১২ নম্বরের নুরী মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের সময় পুরানো স্ল্যাব দিয়ে ঢাকা একটি কুপের সন্ধান পায় নির্মাণকর্মীরা। স্ল্যাব ভেঙে তারা সেখানে প্রথমে তিনটি মাথার খুলি ও কিছু হাড়গোড় আবিষ্কার করে। দৈনিক প্রথম আলো নিউজটি প্রকাশ করার পর বুদ্ধিজীবিদের স্বজনরা ছুটে আসেন। খননের দায়িত্ব নেয় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ও একাত্তরের স্মৃতি পরিষদ। ১০ আগস্ট অবধি তাঁরা মোট পাঁচটি মাথার খুলি ও ছয় শতাধিক হাড় সংগ্রহ করেন। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণে ছিলেন ভোরের কাগজের অনুসন্ধানী রিপোর্টার জুলফিকার আলি মানিক। একই সময় জহির রায়হানের ছেলে অনল রায়হানও মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন তাঁর বাবার অন্তর্ধান রহস্য ভেদে।


সূত্র খুঁজে খুঁজে মানিক পেয়েছিলেন ৭২’র ৩০ জানুয়ারির সেই যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া সৈনিক আমির হোসেনকে। তাঁর কাছেই জানলেন তিনি নিজের চোখে জহির রায়হানকে বিহারী ও রাজাকারদের গুলিতে শহীদ হতে দেখেছেন। ৯৯’র পহেলা সেপ্টেম্বর মানিকের প্রতিবেদন ‘নিখোঁজ নন, গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন জহির রায়হান’ ব্যাপক সাড়া ফেলে সারা দেশে। একইবছর ১৩ আগস্ট সাপ্তাহিক ২০০০’এ (বর্ষ ২ সংখ্যা ১৪) ‘বাবার অস্থি'র সন্ধানে’ শিরোনামে এক প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লেখেন অনল রায়হান। সেখানে তিনি সেই যুদ্ধের আরেক সাক্ষী পুলিশ কর্মকর্তা নবী চৌধুরীর সাক্ষাতকারও সন্নিবেশিত করেছিলেন। নবী তাঁকে জানিয়েছিলেন - জহির রায়হান পুলিশের এডিশনাল এসপি জিয়াউল হক লোদীর সাথে ছিলেন। তাঁদের কারো লাশই আর পাওয়া যায়নি।
জিয়াউল হক লোদীর স্ত্রী লোদী আশিয়া খানের সাথেও সাক্ষাত করেছিলেন অনল। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাতে পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে ফোন করে জিয়াউল হক লোদীকে জানানো হয় পরদিন মিরপুরে বিহারীরা অস্ত্র সমর্পণ করবেন। তিনি যেন একটু তাড়াতাড়ি ডিউটিতে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁকে ফোন করেন জহির রায়হান। তিনিও লোদীদের সাথে বিহারী অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন। পরদিন চাচাতো ভাই শাহরিয়ার কবিরসহ আরো কয়েকজন বন্ধু-স্বজনকে সাথে নিয়ে মিরপুর থানায় গিয়ে হাজির হন জহির। মিত্রবাহীনি ও পুলিশের সদস্যরা তখন অভিযানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রথমে তাঁরা সিভিলিয়ান কাউকে সাথেই নিতে চাননি। পরবর্তীতে শুধু জহির রায়হান তাঁদের সাথে যাওয়ার অনুমতি পান । তাঁর অন্য সঙ্গীরা মিরপুর থানা থেকেই ফিরে আসেন।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অবঃ) বীরবিক্রম তাঁর ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্যঃ’’ স্বাধীনতার প্রথম দশক’ গ্রন্থে (পৃষ্ঠার ২৬-৩৪) উল্লেখ আছে সেই দিনের কথা। তিনি লিখেছেন, ‘সেদিন বিহারিদের আক্রমনের মুখে বেঁচে যাওয়া সেনাসদস্যদের কাছ থেকে ঘটনার আদ্যোপান্ত শুনি। বিশেষ করে ডি কম্পানির অধিনায়ক হেলাল মোর্শেদ ও প্লাটুন কমান্ডার হাবিলদার ওয়াজেদ আলি মিয়া ঘটনার বিস্তারিত জানান।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘ওই সময় আমাদের সৈন্যদের কোনো মৃতদেহ দেখতে পাইনি। পরিস্থিতির কারণে তাৎক্ষনিকভাবে ভেতরের দিকে খোঁজাখুঁজি করাও সম্ভব হয়নি। নিহতদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট সেলিমসহ মাত্র কয়েকজনের মৃতদেহ দিন দুয়েক পর পাওয়া যায়। পুরো এলাকা জনশূন্য করার পরও বাকিদের মৃতদেহ পাওয়া যায় নি। ৩০ জানুয়ারি রাতেই সম্ভবত বিহারিরা সেগুলো সরিয়ে ফেলে।’

জহির রায়হান প্রসংগে জেনারেল মইনুল লিখেছেন - ‘এদিকে ৩১ জানুয়ারি থেকে পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিক ও চলচিত্র পরিচালক জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়ার খবর বের হতে থাকে।। কিছু লোক, সম্ভবত তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব, মিরপুরে এসে তাঁর সম্পর্কে খোঁজ়খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে একদিন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যার নাম আজ মনে নেই, সেনানিবাসে দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টে আমার সাথে দেখা করতে আসেন। তিনি সৈন্যদের সাথে কথা বলার জন্য আমার অনুমতি চান। আলাপের পর তিনি আমাকে জানান, আপনাদের সংগে কথাবার্তা বলে এবং আমার তদন্তে মনে হচ্ছে জহির রায়হান সৈন্য ও পুলিশের সংগে গুলিবিনিময়ের সময় বিহারিদের গুলিতেই নিহত হয়েছেন। অবশ্য এর আগেই আমরা যখন নিজেদের সদস্যদের হতাহতের খোঁজ়খবর তথা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করি, তখনই সৈন্যদের সঙ্গে একজন বেসামরিক বাঙালি লোক নিহত হয় বলে তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘটনা বিশ্লেষনে বোঝা যায়, তিনিই ছিলেন জহির রায়হান।’

জহির রায়হানের আরেকটি প্রতিকৃতি
মইনুল আরো লিখেছেন - ‘জহির রায়হানের মিরপুরে যাওয়া নিয়ে অনেক ধরনের কথা প্রচলিত আছে। তবে এটা সত্যি যে, তিনি তাঁর ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারের খোঁজেই মিরপুর যান। প্রথমিক তদন্তের সময় সাড়ে ১১ নম্বর সেকশনে মোতায়নকৃত সৈন্যদের কয়েকজন জানান, সকাল সাড়ে নয়টা বা ১০টার দিকে তারা হালকা পাতলা গড়নের একজন বেসামরিক লোককে সাড়ে ১১ ও ১২ নম্বর সেকশনের মাঝামাঝি একটি রাস্তায় একা হাঁটতে দেখেন। জহির রায়হানের ছবি দেখার পর সৈন্যদের কয়েকজন জানান, ওই রকম একজনকেই তাঁরা দেখেছিলেন। বেলা ১১টার দিকে বিহারিরা সৈন্যদের উপর আক্রমন করে। অতর্কিত এই আক্রমনে সৈন্যদের সঙ্গে তিনিও নিহত হন। তবে ঠিক কোন জায়গায় তিনি নিহত হন তা সঠিক কেউ বলতে পারেনি। ৪২ জন সেনাসদস্যদের মধ্যে তিন-চারজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। জহির রায়হানসহ বাকি কারোই মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।’
জহির রায়হানের পরিবারের অধিকাংশ সদস্য আজও মনে করেন, এই ঘটনার নেপথ্যে আরো ঘটনা আছে। একই ধারনা জিয়াউল হক লোদীর মেয়ে জাহানারা হক লোদীরও। ১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারী প্রেস ক্লাবে এক কনফারেন্সে জহির জানান, স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই নেয়া অনেক মন্ত্রীর মুক্তিযুদ্ধকালীন বিতর্কিত ভূমিকার প্রমাণ আছে তাঁর কাছে। মুক্তিযুদ্ধের আরো অনেক গোপন তথ্য প্রকাশের কথাও তিনি বলেছিলেন। এর মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় তিনি গায়েব হয়ে যান। ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক বাংলা পত্রিকায় ‘জহির রায়হানের খোঁজ চলছে ... রহস্যজনক ফোন আসছে’শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে নিখোঁজ জহির রায়হানের অনুসন্ধানের জন্য মিরপুরে ব্যাপক তল্লাশী অব্যাহত রয়েছে।’ বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ ও মিত্র বাহীনির প্রধান আরোরা আলাদা ভাবে দুটি বৈঠকেও মিলিত হয়েছেন জানিয়ে প্রতিবেদনে আরো লেখা হয়, ‘...অথচ এর মধ্যেও আসছে টেলিফোনে অজ্ঞাত পরিচয় মহলের নানা ধরনের হুমকী।’

জহির রায়হান বা তাঁর অন্তর্ধান বিষয়ক আলোচনা খুব অল্প কথায় শেষ হবে না আসলে। এ নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখতে হবে - অন্য কোনো সময়ে। আজ শুধু এটুকু জানিয়ে রাখি, ১৯৭৫’র পট পরিবর্তনের পর জহির রায়হানের পরিবারকে তাঁদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছিলো জিয়াউর রহমানের সরকার। আরেক সামরিক জান্তা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর এক সরকারি চিঠিতে বলা হয়, ‘জহির রায়হান যেহেতু ১৯৭২’র ৩০ জানুয়ারি মারা গেছেন, তাঁকে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বলা যাবে না।’

৬৫’র চলচ্চিত্র উৎসবে বক্তব্য রাখছেন জহির রায়হান
আরো জানতে দেখুনঃ
>> গুণীজন
>> জহির রায়হান বিহীন বাংলাদেশের ৪৩ বছর
>> স্মরণঃ জহির রায়হান
>> জহির রায়হানঃ বাংলা চলচ্চিত্রের হারিয়ে যাওয়া তারকা
বাংলা চলচ্চিত্রের হারিয়ে যাওয়া তারকা
বাংলা চলচ্চিত্রের হারিয়ে যাওয়া তারকা
বাংলা চলচ্চিত্রের হারিয়ে যাওয়া তারকা
বাংলা চলচ্চিত্রের হারিয়ে যাওয়া তারকা
newsreel [সংবাদচিত্র]