এম. আরিফুর রহমানের ফেসবুক বৃত্তান্তের একাংশ |
এম. আরিফুল ইসলাম, বরিশালের কোনো এক আঞ্চলিক পত্রিকার সাংবাদিক। হঠাৎ দৃষ্টি কাড়লেন আজ। বরিশালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের আসর বসানোর খবর সম্পাদকীয় নীতির কারণে প্রকাশ করতে না পেরে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। ‘কোন শহরে আছি আমরা?’ শিরোনামে অশ্লীলনৃত্যের ছবিসহ দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন – “আমি একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সংবাদকর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছি। আমি অবাক হয়ে যাই - এই যাত্রা জুয়ার দৃশ্য দেখে তাহলে আমাদের সিনিয়র দের কেমন লাগে?” অর্থাৎ পরোক্ষভাবে সিনিয়র সাংবাদিকদের দৃষ্টিআকর্ষণেরও চেষ্টা করেছেন আরিফুল। বরিশালের এক সাংবাদিকের এমন সচেতনতা দেখে বেশ ভালোই লেগেছে। এই ভালো লাগা থেকেই গিয়েছিলাম তার বৃত্তান্ত ভ্রমণে। এতে যে অভিজ্ঞতা হলো, তাতে তাকে বলতেই হয় – ‘হে ভ্রাতা, আগে আপন মনস্তত্ত্ব নিয়ে ভাবুন। আপনার মতো অগ্রগামী একজন মানুষের বৃত্তান্তে গিয়ে যখন কেউ দেখবে – প্রিয় পেইজ/পাতার তালিকায় প্রদর্শিত হচ্ছে – এমন সংযোগ – যা স্খলনেরই পরিচায়ক; তখন নৈতিকতা নিয়ে আপনার প্রশ্ন তোলার এখতিয়ারটিই কী প্রশ্নবিদ্ধ হবে না? ভার্চুয়াল দুনিয়ায় নিজেকে লুকানো খুব সহজ, আবার কঠিনও। অতএব আগে আত্ম-সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপরে মনোযোগী হন। আপন নৈতিকতাকে সংযত ও সুসংহত করুন।’
সাংবাদিক এম. আরিফুল ইসলাম |
তবুও আপনাকে ধন্যবাদ এম. আরিফুল ইসলাম। কারণ, আপনার স্ট্যাটাসের কল্যাণেই আজ স্মরণে এলো – এক দুর্দান্ত পিশাচ পরিবার। দক্ষিণের ঠিকাদারী, তেল, মিডিয়া, নারী ও জুয়া ব্যবসায় যাদের অবদান সর্বজনবিদিত। বংশ পরম্পরায় তারা সমানে অবদান রেখে চলেছেন। বরিশালের প্রতিটি খাম্বাও জানে তাদের অপকীর্তির কৌলিক ইতিহাস। ‘খাম্বা’ মানে জানেন’তো? না জানলে জিজ্ঞেস করুন কাছে থাকা যে কোনো ‘বরিশাইল্যা’ -কে। বস্তুত বরিশালের কেউই ওই পরিবারের সদস্যদের নাম মুখে আনতে চায় না। এটা অবশ্য ভয়ে নয়, শঙ্কায়। তারা ভাবে, ওদের কারো নাম মুখে আনলে দিনটাই না খারাপ যায়। কোনো প্রতিহিংসার বশে লিখছি না এসব, নেহাতই নৈতিকতার দায়। সময় করে একদিন আরো অনেক কিছুই লিখতে হবে। ঠিকাদারী, তেল, মিডিয়া, নারী ও জুয়া সংমিশ্রণের ফর্মূলা জানাতে হবে নতুন প্রজন্মকে। আমিও আশা করি, আরো অনেকেই লিখবেন। সবাইকে জানাবেন – ওই পরিবারের গল্প।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন