তালা - The Lock © eon's photography |
বহুকাল আপনার মাঝে
ছুটে ছুটে জেনেছি আমিও
এমনই এক ধারনা যা
মহাবিশ্বের মতো
- ক্রমে বিবর্তিত
***
সুযোগসন্ধানী কে যে
ঘোলা জলে খেলে চলে
ছায়া তার কোথা পরে
রয় না তা’ও খেয়ালে,
নাচে গাধা আলাভোলা
তলে তলে কোন দলে
ভেড়ে খানকির পোলা
তা’ও জেনে যাবে সবে
তবুও ভয় পেওনা ।।
***
পুনরায় কবে হবে যে সহায়
কতটুকু আর করে অসহায়
তা’ই হয়ত দেখার অপেক্ষায়
জলেরই মত স্বচ্ছ ভুলগুলো
হয় না হায় কখনো পথভুলো
বার বার আসে
সেই টানে ফিরে
চেনাতে আবারো
অচেনা নিজেরে
জাগে কূট চালবাজ নর কীট
মাপে আইটেম সঙের যে বিট
নিয়মিত মারে হাত-
তাল কেটে হলে কাত
ভাবে সে কি একা একা
কবে যে হয়েছে ভুলে
ভুল রাজ্যে শান্তি শেখা
তা আন্দাজই করতে পারে নাই
বালিকাও আর দেয় নাই দেখা
***
স্বভাবের দোষে দুষ্ট
বাতেনী মননে পুষ্ট
বহুগামীতার বীজ;
ক্ষমাপ্রাপ্ত বোধ নষ্ট
হয়ে যে সে লক্ষ্যভ্রষ্ট
তা বুঝেও না বুঝিস!
না বুঝলেও জানিস-
এ অন্য কিছুই নয়
স্রেফ অপব্যবহার,
নিশ্চিন্ত ভালোবাসার।
মন থেকে বলি তাই
ক্ষমা করিস না আর।
সাবধানে সাধু সেজে
সকালেও সে ভেবেছে
অতি পিরিতের চাপে-
কেন কাঁপবে এভাবে;
কদাকার ইচ্ছেগুলো
বার বার পথভুলো
করে যদি করুক না।
তাই বলছি আবার
ক্ষমা করিস না আর।
******
নিপাট নির্লিপ্ত কালে
একঘেয়ে বেখেয়ালে
চেয়ে চেয়ে দেখেছিলে-
যা কিছু ছিলো অর্জিত
কাঙ্খিতরা ক্রমাগত
তারে দূরে ঠেলে দিলে
দূরে দূরেই পালায়
সব কথিত বান্ধব
আর বেহিসাবী বোধ
গ্রাস করে বিচ্ছিন্নতা
কে জানি জেনে নিয়ে তা
খুঁজে বুঝে নেয় প্রিয়
প্রেয়সীর পরোয়ানা
এবঙ নিজের মত
হেলায় বাড়ায় ক্ষত
জানে সাবধানী সে'ই
কেউ অপেক্ষায় নেই
পাওনাদারের মত
দৃশ্যত বুনো ধৃষ্টতা বাড়ে
চেনা পাতায় যার আঁচড়ে
বসন্ত দিন হয় মলিন
আর সমকালীন সঙ্কট
দৈন্যতার ভজঘট মেপে
ডুবিয়ে দেয় স্বপ্নের খেয়া
যার জীর্ণ অপেক্ষায় মায়া
ছিড়ে যাওয়া গ্রন্থির ঋণ
ভুলে সাজে খুব দৈনন্দিন
কারণ সে’ও যে বর্ণচোরা
coloured / © eon's photography |
***
দিনের শেষে
লোকাল বাসে
ফিরছি মাঠে
ছবির হাটে
পাশের সিটে
যে মতলবী
খুব ঈমানী
জোশের বশে
মারলো কষে
বয়ান বোমা
আমলা মনে
জাওয়ানিকা
তুফান তোলা
আলাপ জমে
জমজমাট
ধর্মের ঘাঁট
পিচ্ছিলকারী
অজ্ঞানতার
সারমর্মে সে
মাওলানাই
চেঁচিয়ে বলে
এ শয়তানী
বড়ই ফানি
জেনেছে তারা
নষ্টের গোঁঢ়া
শাহাবাগই
***
বিজয় বিজয়া
খুনেরো হিন্দোলে
নাচিছে মাতিয়া
তাল ও বেতালে
হেলিয়া দুলিয়া
গোলাপের কোলে
নিজেরে ভুলিয়া
দেখিয়া তা ভুলে
অবাক না হয়া
মায়াময় বোলে
যাই যে বলিয়া
হে প্রিয় মহান
খেয়াল করিয়া
সেয়ানী চোদান
******
তাবৎ অসহায়ত্ব আর রাগ-ক্ষোভগুলো টের পেয়ে যাও হয়ত-
জেনে যাও সেই সব গোপনালাপও যা জানার ছিলো না কারো;
ফি জন্মে তাই খুন হও তুমি - জ্ঞানেরও অজ্ঞাতে লুকানো তন্ত্রে
আত্ম-সংবরণের সুযোগও পায় না খুনী মন, অতঃপর আবারো
উদ্যোগী হয় তোমায় সংগ্রহে - পুনরায় বুঝে নিতে খুনের স্বাদ।
[গ্রীষ্মের ক্রোধে খুন হওয়া সেলফোন সেট দুটিকে উৎসর্গকৃত]
ভাই, বন্ধু - দুটোই
ভেবেছিনু তোমারে
আহারে কি যতনে
ভাঙিয়া সে ভাবনারে
দূরেই ঠেলিয়া মনে প্রানে;
না জানি পাইলা কি সুখ
তোমার এ ভাঙার অসুখ
ভালো হউক - তা'ই চাই
কারন ওই যে,
ভেবেছিলেম - বন্ধু ও ভাই।
যদিও তুমি -
ছলেরই কারবারী
তবুও'তো সেজেছিলে
কত না উপকারী;
শুভকামণাও তাই
থাকিবে সব সময়
যদিও - আমাদের
পথ ও কৌশল, এক নয়।।
cordial / © eon's photography |
কে সরাব হাতে
এ শবে-ব-রাতে
আয়াতের সুরে
ডাকে ইবাদাতে
কেবলায় জুড়ে
খুব ফুরফুরে
গ্রীষ্মের হাওয়া
কারে হেদায়াতে
কার তা চাওয়া
যায় না পাওয়া
সূরার শরীরে-
পারে কে জানাতে
এ ভেদ ভাঙাতে
ঠিক কোন পীরে
খুঁজে তারে ভীড়ে
পোষাবে কি তাতে
রোজ আখিরাতে
____________
শবে-ব-রাত
১৩ জুন ২০১৪
******
গুজরাট থেক্যা বাঙলায়
মৌলবাদ নয়া আয় নায়।
তর মনে নাই হেই কালে
ঝুলাইয়া অ-ধর্মের মূলা
আহা কি স্বর্গীয় ফরমুলা
ভারত ভাইঙ্গা নিরিবিলি
বাড়াইছিলো ক্যাগো সম্মান-
চেনাইছিলো হ্যাগোরেই গদি
যেয়ার লোভে, ভাবৌরসে
পয়দা লইছে শফী-মোদী।
আইজ আর কি কমু মামা
তাগো গায়ে ভরসার জামা
পরাই রাখছে জনগণ;
যাগোর বিভেদাক্রান্ত মন
বোঝে নাই ভাঙ্গার অসুখ
বা এক থাহনের মাজেজা-
হেয়া ক্যা, কারে জিগায় কেডা?
যদি এক রাতে
দেখ অপঘাতে
মরে পড়ে আছি
খুব কাছাকাছি
পরিচিত কায়া
দেখে বড় ঠেকে
দেখিও না মায়া
ছায়ারও আগে
সরে যেও তুমি
জেনে নিও আমি
বলেছি নিশ্চিত-
যে আমার খুনী
সে মূলত ছিলো
আত্মহত্যাকারী
গণিতের বীজ
নিয়ে ঘোরা কোনো
সন্দেহপ্রবণ
আগোছালো গল্প
নিছকই অল্প
ছকে যা লিখেছে
দিল্লী-পেন্টাগন
আর নির্যাতন
সইতে না পেরে
বোঝে যে অবুঝ
বাকিঙহাম বা
লাওহে মাফুজ
ক্ষমা করে সব
হত্যাকারীকেও
হতে পারে সে’ও
যে বেওয়ারিশ
তা’ও জেনে নিও
শিরোনামঃ গাধার গয়না
রচনাকালঃ নিকট অতীত
প্রস্থান - The Departure © eon's photography |