Powered By Blogger

০৫ জানুয়ারী ২০২৩

তিনটি দুর্বল কবিতা | ঈয়ন


ঘ্রাণ

শীতগন্ধা ছাতিম ও হিজলের
বর্ষাতুর সুবাসের ব্যবচ্ছেদ
করতে করতে যখন মনে পড়ে
মৃত কুকুর বা বিড়ালের চেয়ে
জ্যান্ত মানুষ পঁচা গন্ধের তীব্রতা
কত বেশি তখন নিজের ঘ্রাণ
সহ্য করি কী করে তা—
বুঝে নিতে খুঁড়ে যাই মম
যাবতীয় টিকে থাকার কৌশল
তামাম ব্যস্ততায় টেনে ছেদ
থাকি অন্তরের অন্দরে তাকিয়ে

এজমালি

প্রতিটি মানুষের মন
লুকিয়ে রাখে যে বন
বিচিত্র রঙ ও পাহাড়
তার বিবর্ণতার ভার
বইতে পারে কি কেউ
সইতে পারে কে ঢেউ
নিরাকার সরলতার—
মৃদু মৌসুমী হাওয়া;
না চাইতেই পাওয়া
অবসাদের হিমবাহ
বা মা পাখির প্রদাহ—
ঘোচাতে পারে সে জন
যার ধীরায়নের ক্ষণ
জানে সব সত্তার সত্য
আদতে যা একীভূত
প্রেম দরিয়ার মতো
প্রবাহিত হর্ষ-বিষাদ;
পরমের চরম সাধ—
আশ্রিত সুবর্ণ ক্ষতও
সভ্যতার আয়ুর ঋণ;
সদাই তা খুঁড়ছে খাদ
সুচতুর— সার্বজনীন!

মাযহাব 

যারা—
ফিতনায় গুলিয়ে ধর্মের ঘোল
খেয়ে সুচতুর ফতোয়ার ডিম
ভাবে বিধর্মী হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল
জব্দে পাবে সিরাতুল মুস্তাকিম
তারা—
জেনে ঠিক কোন আয়াতের মর্ম
দৃঢ় ঈমানে পরে গোঁড়ামির বর্ম
চেনে আগ্রাসী অসদয় ইসলাম
হোসেন না এজিদ তার ইমাম
সেই—
প্রশ্নের কোনো মানে নেই জানি
যা খুঁড়ছে মুমিন কাল্বের ক্ষত
নীরবে হাঁসফাঁস করে ঐশীবাণী
মুসলিম মানে সেচ্ছায় অনুগত
এই—
বিশ্বাসে আঘাত তখনই সহজ
যুক্তিবাদ যখন বিচার্য অপরাধ
জামিন অযোগ্য দ্বীনের বিবাদ
বাড়ায় প্রেমহীন পূণ্যের গরজ
newsreel [সংবাদচিত্র]