Powered By Blogger

২২ জুন ২০১৫

ক্রিকেটের মওকায় সাম্প্রদায়িকতা !

ক্রিকেটের মওকায় আজ যারা ফের সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়াতে চাইছেন, তাদেরই একজন কবি, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক দর্পন কবীর (Darpan Kabir) । হিন্দুবিদ্বেষী এই ভদ্রলোক আবার এটিএন বাংলা ইউএসএ’র বার্তা সম্পাদক এবং আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকেই টের পেলাম তিনি মূলত সেকালের দাঙ্গাবাজদের বীজবহনকারী এবং স্বভাবতই আজ ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
যারা ওনার এই হিন্দুবিদ্বেষী প্রচারণায় বেশ আমোদিত, লাইক - শেয়ার করে প্রচার বাড়াচ্ছেন, সেই মুসলমান ভাইদের কাছে জানতে চাচ্ছি - ইসলাম কি এমন বিদ্বেষ ছড়ানো সমর্থন করে? নাকি নিজেদের ব্যক্তিআক্রোশ মেটাতেই আপনারা ধর্মকে টেনে আনছেন? আর খোদ দর্পন কবীরের কাছে জানতে চাচ্ছি, শেষ কবে কোন দর্পনে নিজের মুখাবয়বটা দেখেছিলেন ভাই?

সকলেই এদের ব্যাপারে সতর্ক হোন, সজাগ থাকুন।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে ওই কথাগুলো শেয়ার পর যে ধরণের আক্রমণাত্বক মন্তব্য আর মেসেজ পাচ্ছি তা কিছুটা শঙ্কাজনকই বটে। এ জাতীয় ইস্যুতে পুরানো বন্ধু, বান্ধব - এমনকী স্বজনদের যে চেহারা উন্মোচিত হয়; তাতে ভয়ই লাগে। কে যে কখন কোন ঈমাণে চাপাতির এক কোপে কল্লা নামিয়ে দেবে তা টেরও পাবো না হয়ত। তবে এটা এখনই টের পাচ্ছি যে এরা, মানে এই প্রতিক্রিয়াশীলরা আদতে ধার্মিক না। এরা ধর্মের নামে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলেই ব্যস্ত।
নিজের পূর্ববর্তী পোস্টের সূত্র ধরেই নতুন স্ট্যাটাস দিয়েছেন দর্পন কবীর। 
যার একাংশও পড়ে নিতে পারেন।
নীচে দর্পনের দেয়াল থেকে নেয়া আরো একটি পোস্টের একাংশ।
তিনি বেশ সুপরিকল্পিতভাবেই একের পর এক সাম্প্রদায়িক উসকানীমূলক পোস্ট করে যাচ্ছেন।

তবে হতাশ হবেন না, আমিও হচ্ছি না। কারণ দর্পন কবীর এবং তার সমর্থকগোষ্ঠীর বাইরেও বহু মানুষ আছেন। যারা এ জাতীয় প্রচারের জবাব দিচ্ছেন। হয়ত দিতে বাধ্য হচ্ছেন।  কারণ, এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে তাদের ভালো লাগার কথা নয়। কিন্তু জানেন’তো, প্রকৃত ধার্মিকরা ধর্মের নামে বিদ্বেষ সহ্য করতে পারেন না। আর বাঙালরা আদিতেই ধর্মপ্রাণ।
newsreel [সংবাদচিত্র]