Powered By Blogger
সংবাদচিত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সংবাদচিত্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

২৯ মার্চ ২০১৯

চোখের সামনে মানুষের অসহায় মৃত্যু!

ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীর বাণিজ্যিক ভবন এফ আর টাওয়ারের
আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। 

“আগুন লেগেছ দুপুর বারোটা দশে, আর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসেছে বারোটা চল্লিশে। প্রথম যে ছোট গাড়িটি এসেছিল সেটি আবার উঁচু ভবনের উপযোগী ছিল না,” বলছিলেন বৃহস্পতিবারের এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী রিয়াজ হাওলাদার। 

ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে তৎসংলগ্ন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র আরো বলেন, “পরবর্তীতে বড় গাড়ি আসে একটা দশে। ততক্ষণে আগুন নয় তলা থেকে এগারো তলা অবধি ছড়িয়ে যায়।কি আর বলবো, এখন চোখের সামনে মানুষের অসহায় মৃত্যু দেখতে হচ্ছে।”

ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীর ওই বাণিজ্যিক ভবনের নীচতলার এক অফিসের কর্মচারী রকিব মিয়া বলেন, “আমরা বাইরে এসে দেখি সব কিছু ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। ওই অবস্থা দেখে আমরা সবকিছু ফেলে অফিস বন্ধ করে বেরিয়ে এসেছি।” 

তাঁর ধারণা, শুরুতে ছয় বা সাত তলাতে আগুন লেগেছিল। 

“আমরা যারা নীচের দিকে ছিলাম তারা বের হতে পেরেছি। ওপরের দিকের তলার সবাই আটকে গেছে। সেখানে অনেকগুলো অফিস ছিল। প্রতিটি অফিসে কমপক্ষে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ জন কাজ করতেন। যে কারণে ওপরে প্রচুর মানুষ আটকে গেছেন,” বলেন তিনি। 

রকিব আরো বলেন, “অনেকেই ওপর থেকে তার ধরে বা লাফিয়ে নামতে গিয়ে মারা গেছেন। আমার চোখের সামনেই এমনটা ঘটেছে।”

ইন্টারনেট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান সিকদারও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, পাশের ভবনে তাঁর অফিস। তিনি বলেন, “আমার ভবনের এগারো তলার দেওয়াল কেটেও কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।” তিনিও ফায়ার সার্ভিসের বিলম্ব নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। 

জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, ভবনের নয় তলার একটি অফিসে কাজ করতেন তাঁর বোনজামাই রেজাউল করিম রাজু, যার হদিস মিলছে না। 

তিনি বলেন, “আমার বোনের সাথে দুপুর দু্ইটার দিকে রাজুর কথা হয়েছে। তখন সে বলেছে, ধোয়ার জন্য সে কিছুই দেখতে পারছে না। এরপর থেকে আমরা তাঁকে খুঁজে পাইনি। সব আত্বীয়-স্বজন চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। 

“তাঁর এক সহকর্মী ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, সে আমাদের তাকে বারো তলায় দেখার কথা জানিয়েছেন।”

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা পঁচিশ, যা আরো বাড়তে পারে। 
newsreel [সংবাদচিত্র]