Powered By Blogger

৩০ মার্চ ২০১৬

অস্ত্রবাজ সময় ও সমাজে ...

ছবিঃ সংগ্রহিত
ধরায় মানুষ নয়, প্রাণ হন্তারক অস্ত্রই সবচেয়ে নিরাপদে রয়। দেশে দেশে তাদের প্রতিটি জমায়েত, তথা ‘অস্ত্রাগারগুলো’ ঘিরেই গড়ে ওঠে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়। এ বলয়গুলোকে সামরিক এলাকা, ঘাঁটি বা ক্যান্টনমেন্ট বলা হয়। সময়ের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বিশেষায়িত ওইসব এলাকায় চলে অস্ত্রের পাহারা, পরিচর্যা এবঙ প্রাত্যহিক মহড়া। যুগ যুগ ধরে খোদ মানুষই নিয়োজিত আছে এই কাজে। অস্ত্রের বিবর্তনও আগাচ্ছে অজস্র মানুষেরই হাত ধরে। যে মানুষগুলোও আবার খুব দূরের কেউ নন। বেসামরিকদেরই ভাই, বন্ধু - স্বজন। কালের গণিতে যারা আজ সামরিক; তামাম অস্ত্রশাস্ত্র, বা অস্ত্রেরই সেবাদাস। নানা প্রত্যাশার মূলো ঝুলিয়ে তাদের ব্যবহার করা হয়। বস্তুত অস্ত্রেই স্থানীয়, জাতীয় ও বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত রয়। অস্ত্রবলেই গড়ে ওঠে প্রতিটি মনুষ্য রাস্ট্র, আইন। নির্ধারিত হয় সীমানা, শাসক। এবঙ যাবতীয় বিধান, নানাবিধ সম্মান। এমনকী আমার ইতিহাস পড়ুয়া তরুণী বোনের সম্ভ্রম হারানো ক্ষত-বিক্ষত তনু বা তার কেড়ে নেয়া জীবনের দামও আজ; নির্ধারণ করে দিতে চায় - এই অস্ত্রধারী সময় ও সমাজ। ময়নামতির পাহাড় হাউসে তবু কেউই কাঁদেনি ভয়ে। রাষ্ট্রের জলপাইরঙা দাপটে কেঁদেছে কান্দিরপাড় থেকে কারওয়ান বাজার; সমগ্র বাঙলা বা দুনিয়ার মানবাধিকার। তবে জানতে পারে নাই মন, কতটা কাঁদছে সুন্দরবন - এ বেলায়, ক্রমে পুড়ে ধ্বংসের খেলায়।


২৯ মার্চ, ২০১৬
পল্লবী, ঢাকা।

কোন মন্তব্য নেই:

newsreel [সংবাদচিত্র]