নামাঙ্কন : সাইদ র’মান |
প্রথম বই প্রকাশের ঘটনায় যতটুকু উত্তেজিত বা আনন্দিত হওয়ার কথা ছিলো, মানে হবে বলে আশা করেছিলাম; ঠিক ততটা উত্তেজনা বা আনন্দ হচ্ছে না কেন জানি। এর জন্য কে দায়ী? সমকাল, না কোনো গুপ্তগ্লানি? ঠিক বুঝতে পারছি না।
গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিলো ২০১১’র নভেম্বরে। পাণ্ডুলিপির প্রথম খসড়া দাঁড়িয়েছিলো আগের বছর, মানে ২০১০’র জুলাইয়ে। কিন্তু এবার, মানে ২০১৫’তে এসে তা চূড়ান্ত এবং প্রকাশিত হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।
মামার হাতে - অামার বই |
হায়, কতটা অসহনশীল হয়ে উঠছি আমরা। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছ থেকে ক্রমশ দূরে সড়ে যাচ্ছি। বিচ্ছিন্নতা বোধ পিছু ছাড়ছে না কারো। তাবৎ অনুভূতিও ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। ভুলেছি হাসতে - কাঁদতে। নগর সভ্যতা যে হাসাতে আর কাঁদাতেই শেখাচ্ছে খুব। পুঁজির রাজ্যে মানুষ আর মানুষ নয়, ভাঁড় বা ভয়ংকর হতে চায়।
আহা, বিবর্তন। এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে এই যে গ্রন্থ প্রকাশ, এ নেহাত কোনো চাতুর্যতা নয়ত - এমনটা ভাবতেও কী মানা আছে কোনো। যদিও এখন জেনে গেছি কেন লেখি। এই বইতে তার কিছু পরোক্ষ ব্যাখ্যাও পাওয়া যাবে হয়ত। তবে নতুন পাঠকদের আগেই বলে রাখি - আমি কিন্তু ভাই ‘কবি নই, তবু শব্দ-ছন্দ বুনি’..।
ভা ব নাং শ - এর সূচি |
>> অভিজিৎ দাস নিরুদ্দেশ, না গুম?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন