Powered By Blogger

০৫ মার্চ ২০১৪

অভিনন্দন হে অগ্রজ...

একুশে পদক নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে গোলাম সরোয়ার
শিরোনামটি কাকে উদ্দেশ্য করে দেয়া তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। তিনি গোলাম সরোয়ার। সংবাদপত্র জগতের এক জীবন্ত কিংবদন্তী। শিক্ষা-সংস্কৃতি বিকাশের আদি পূণ্যভূমি বরিশালের গৌরবজ্জল মুকুটে এবার আরেকটি পালক সংযুক্ত করলেন দেশের অন্যতম সফল ও প্রভাবশালী এই সম্পাদক। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তার একুশে পদক প্রাপ্তিতে সমগ্র বরিশালবাসী আজ গর্বিত। এই গুনীজনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামণা করে আমাদের বরিশাল ডটকম পরিবার।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি এবারের পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই নানা স্তরের মানুষের অভিনন্দন আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সরোয়ার। মোবাইলে ফোন বা মেসেজ করে, ফেসবুক পেইজের ওয়াল বা ইনবক্সে লিখে, কিংবা সদলবলে অফিসে গিয়ে দেখা করে; যে যেভাবে পারছেন তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনি পদক নেয়ার পর এর মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে তাকে সম্বর্ধনা দেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন।

বরিশালের বানারীপাড়ায় ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহন করেন গোলাম সরোয়ার। পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার ছাত্র খাকাবস্থায় ১৯৬৩ সালে দৈনিক সংবাদের সাব-এডিটর হিসাবে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ‘কালো রাতে’ তিনি ওই পত্রিকার প্রধান সাব-এডিটরের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর তিনি বানারীপাড়ায় গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কয়েক মাস বানারীপাড়া হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৩ সালে সাংবাদিকতায় ফেরেন গোলাম সরোয়ার। দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সাব-এডিটর (সিফট ইন চার্জ) পদে যোগ দেন । পরবর্তী ২৬ বছর তিনি সেখানে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। এরই মধ্যে দেশের সবচেয়ে কমবয়সী বার্তা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদকের চাকরি ছেড়ে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন।

সম্পাদক হিসাবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই বাজিমাত করেন সরোয়ার। যমুনা গ্রুপের মালিকানাধীন যুগান্তরকে খুব দ্রুত একটি স্বকীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে সমর্থ হন তিনি। এরপর ২০০৫ সালে দৈনিক সমকালের দায়িত্ব নেন। এর কিছু দিন পরই শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে হয়। এ কারণে তিনি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

পরবর্তীতে ২০০৬ সালে পুনরায় দৈনিক যুগান্তরে যোগ দেন সরোয়ার এবং ২০০৮ সালে ব্যাক্তিগত কারণে ছেড়েও দেন। অবশেষে ২০০৯ সালে তিনি আবার সমকালে যোগ দেন। এছাড়া বর্তসানে তিনি সরকারি সংবাদ সংস্থা বাবস’র একজন পরিচালক ।

বেশ কয়েক বার জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন গোলাম সরোয়ার। চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। কলামিস্ট বা লেখক হিসাবেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। সোস্যাল-কালচারাল এক্টিভিস্ট হিসাবেও তিনি সক্রিয়। বিভিন্ন চ্যানেলের টক শো’তেও তাকে নিয়মিতই দেখা যায় টিভি। ফেসবুক পেইজে তার অনুরাগীর সংখ্যা ২৩ হাজারের বেশী।

গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী সালেহা সরোয়ার এবং দুই পুত্র ও এক কন্যা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।
newsreel [সংবাদচিত্র]