Powered By Blogger

০৩ জানুয়ারী ২০২২

পাঁচটি ‘দুর্বল কবিতা’ | ঈয়ন

ছবি: ঈয়ন

অনাগত সময়ের গান
পাখির ভাষায় লিখতে চেয়ে গান
হরিণেরা সব দুলে উঠেছিল খুব
শনির ডানায় ভর করে ডাংগুলি
খেলতে খেলতে হয়েছে যারা চুপ
নোনাবনের মাছেরাই শুধু জানে
কতটুকু সুর হারিয়েছে স্বাদুজলে
আর কতটা রয়েছে গেঁথে জিনে
টিকে থাকার অসুর ক্ষমতাবলে
থেমেছে কবে উভচর মহামারী
সহস্র যুগ কেটে গেছে কিভাবে
ভাবার জন্য নতুন কোনো প্রাণ
আবার যখন দুনিয়ায় জন্মাবে
তখনও কেউ লিখবে কবিতা
শিশিরে আদ্র হবে পাতার মন
দুর্বল গেছো সাপেরও বিশ্বাসে
উঠবে কেঁপে নলখাগড়ার বন

দেবাদ্রিতা দরিয়া
নিশ্চয় তুমি সেই সামগ্রিক মহাসত্তার সন্তান;
যাকে নিযুত ঈয়নে ভগবান, আল্লাহ, ঈশ্বরসহ
আরো নানা নামে ডেকেছে তোমার স্বজাতি;
যার বাইরে কেউ নেই, কিছু নেই— আমিও না।
জীবন তোমার শিক্ষক, পিতামাতা বাহক মাত্র
জেনে নিও— আমৃত্যু সব মানুষই নির্ঘাত ছাত্র;
আর স্মরণে রেখো হে কন্যা দেবাদ্রিতা দরিয়া
—এই নীল গ্রহে তুমিই আমার পিতৃসত্তার মা।

বার্ষিক প্রত্যাশা
নতুন ভোরটা উঠবে হেসে
কবে মীন শিকারীর দেশে
মহামারীও কাঁপবে কেশে
থুরথুরে এক বুড়ির বেশে
নয়া হাওয়া-জল-মমতায়
অনাচার বাড়বে কোথায়
কী গনিতে কোন সমতায়
কারা কেন কত ক্ষমতায়
কিংবা বছর কেমন যাবে
কে বেশি ও কে কম খাবে
কার ফানুসে জ্বলে আলো
কারা বলে আঁধারি ভালো
ভাবলে কি-তা দোষের হবে
কেই-বা ভাবনা মুক্ত কবে—
কার খেলা কে কেন পুতুল
না জেনে সাঁতারে কী ভুল
লোভে ডুবে আটকে জালে
ভয়ের কুমির মনের খালে
খেয়ে দেবে প্রতিবাদী ভাষা
অদরকারি বার্ষিক প্রত্যাশা
বিলবিলাস
কখনো বিলবিলাস হয়নি যাওয়া
দাদাজানের মুখে শুনেছি শুধু নাম
তিনি জেনেছেন তাঁর দাদার বয়ানে
ওটাই আমাদের পূর্বসূরীদের গ্রাম
ঠিক চিনি না বিলবিলাসের মাটি
জানি না মোটে কেমন তার হাওয়া
নদ-নদী আছে নাকি আশোপাশে বা
সাগরটাকে যায় কি দেখতে পাওয়া
তবুও কখনো নামটা পড়লে মনে
ছুটোছুটি করে অগোছালো দৃশ্যরা
অপরিচিত সময়ের ধ্বনি শুধায়
বিলবিলাস ছেড়েছিলি কেন তোরা
প্রাককলন
কোন মিজানে যে মাপতেছ প্রেম
বা কবে কতটা প্রেমিক ছিলেম
প্রেম যে পুরানো মদিরার মতো
-বয়সে বাড়ে তার স্বাদ ও ক্ষত

ছবি: ঈয়ন

কোন মন্তব্য নেই:

newsreel [সংবাদচিত্র]