৩০ আগস্ট ২০১৬

হিলারি ধনীদের নেত্রী, হাসিনা গরিবের

দৃশ্যত এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচে ক্ষমতাধর ‘খ্রিস্টান নারী’ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, আর ‘মুসলিম নারী’ - নিঃসন্দেহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কে প্রত্যাখ্যান করবেন এ কথা?

বস্তুত খ্রিস্টান, মুসলিম বা হিন্দু, বৌদ্ধ - এখানে আলোচনায় আসার কথা নয়। তবুও বিশ্ব রাজনীতির চেহারা স্পষ্ট করতে এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক ‘টার্ম’ বা বিশেষণ ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে লেখক সত্ত্বার পক্ষে পুরুষতান্ত্রিক হয়ে ওঠার লোভ সামলানোও বেশ কঠিন।
তবে এটুকু বলাই যায়, হিলারি ধনীদের নেত্রী আর হাসিনা গরিবের। পুঁজিহীনদের সুদের আওতায় আনার ফর্মূলা দিয়ে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পাওয়া ড. মুহম্মদ ইউনুস আছেন দুই নেত্রীরই ভাবনায়। তিনিও ওনাদের নিয়ে ভাবেন নিশ্চয়ই।
দুর্নীতির ধোঁয়া তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণ সহায়তা বাতিল করলেও শুরু থেকেই অভিযোগটি ভিত্তিহীন দাবি করে শেখ হাসিনা বলে আসছেন, ড. ইউনূসই এ ঘটনার জন্য দায়ী। সরকার প্রধানের এই বক্তব্যে নতুন মাত্রা পায় বার্তা সংস্থা এপি'র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে।

গত ২৩ আগস্ট প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বাংলাদেশ সরকার চাপ প্রয়োগ শুরু করলে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান ড. ইউনূস। এ সময় সহকারীদের ইউনূসকে সাহায্য করার উপায় খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন হিলারি । একই সময়ে ডক্টর ইউনূসের অধীনে থাকা দু’টি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ক্লিনটন ফাউন্ডেশন’ কয়েক লাখ ডলার আর্থিক অনুদান পায় বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

এতে আবারো স্পষ্ট যে, ড. ইউনুস গরিব চুষে খাওয়া ধনীদেরই প্রতিনিধি। যিনি হাসিনা সরকারকে কিনতে বা টলাতে না পারার আক্ষেপাক্রান্ত। আজ একই আক্ষেপে পুড়ছেন মীর কাশেম আলী। তাকে ডিম খেতে দেয়া হোক, কমপক্ষে ছয় হালী ।

জয় বাংলা।

২৮ আগস্ট ২০১৬

হিংসুটে, অসৎ ও ধূর্তের ‘পেশাদার সখ্যতা’

খুব সরল দুটি প্রশ্ন রেখে শুরু করছি। সংশ্লিষ্ট বা অভিযুক্তদের বক্তব্য, তথা আত্মপক্ষসমর্থনের সুযোগ না থাকা সংবাদ কতটা বস্তুনিষ্ঠ? নেহাতই কোনো আলাপ বা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে যাকে তাকে যে কোনো কিছু আ্খ্যা দেয়ার অধিকার কি সাংবাদিকদের আছে?
প্রতিদিনই এমন ভুরি ভুরি সংবাদের দেখা মেলে। যেখানে গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী কর্মকর্তা, বিশ্বস্ত বা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন মানুষের চরিত্র হনন করা হয়। আর যার বা যাদের নামে বিভিন্ন তথ্য ছড়ানো হয়, তাদের কোনো ভাষ্য বা বক্তব্য দেয়া হয় না।

আসুন একটি নমুণা দেখি। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড তথা বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন পত্রিকা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ দাবি করেছে, সম্প্রতি যে ১১ উপসচিব নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে তার মধ্যে অন্তত চারজন সরাসরি বিএনপি মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তাই শুধু নয়, তাদের গোটা পরিবারের সদস্যরাও একই রাজনৈতিক আদর্শের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়। অর্থাৎ চার কর্মকর্তার গুষ্টির সবাই, জাতীয়তাবাদী দলের সৈনিক।

‘সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা’ -এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ (২৮ আগস্ট, ২০১৬) ‘১১ জেলায় নতুন ডিসি, তিনজনকে নিয়ে আপত্তি’ শিরোনামে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সংবাদটিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েরও কোনো ভাষ্যও নেননি প্রতিবেদক। অথচ তার প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করা হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, ‘গত ২৩ আগস্ট রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১১ জন উপসচিবকে নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এদের মধ্যে অর্থ বিভাগের উপসচিব মো. জহির রায়হান, অর্থমন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপসচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব রাব্বী মিয়া সম্পর্কে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা খাতুন সম্পর্কেও জানা গেছে একই তথ্য।’

এই ‘শাহিনা খাতুন’-কে ‘শাহিনা আক্তার’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনের আরেক অংশে বলা হয়েছে- ‘নাটোরের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শাহিনা আক্তার সম্পর্কে জানা গেছে, তিনিও বিএনপি মনোভাবাপন্ন এবং সুবিধাবাদী কর্মকর্তা।’
‘আমরা জনগণের পক্ষে’ শ্লোগান নিয়ে বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ কোনো ভূঁইফোড় পত্রিকা নয়। এখানে এভাবে চার কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চরিত্র হননের এ প্রচেষ্টার কি হেতু থাকতে পারে বা সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে কার, কিসের স্বার্থে; এসব প্রশ্নের জবাব খোঁজা উচিত। কোথায় যে কিসের বীজ লুকিয়ে আছে, কে-ইবা বলতে পারে।
যদ্দুর জানি, দেশের সকল স্তরের মতো আমলা মহলেও ‘প্রফেশনাল জেলাসি’ বা পেশাগত হিংসা কতটা প্রকট তা জানে দেশের সাংবাদিক সমাজ। এমনকী জনগণও চেনে হিংসুটে আমলা, অসৎ গোয়েন্দা আর ধূর্ত সাংবাদিকদের ‘পেশাদার সখ্যতা’। আলোচ্য প্রতিবেদনটি নিঃসন্দেহে এমন হিংসা, অসততা আর ধূর্ততার বহিঃপ্রকাশ। যে পত্রিকায় নঈম নিজাম বা শাবান মাহমুদের মতো উঁচুমানের প্রথিতযশা সাংবাদিকরা আছেন, সেখানে কারা, কেন এর চর্চা করছেন তা খতিয়ে দেখা উচিত। 

তবে পত্রিকাটি ক্ষমা চাইবে কি’না, সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। কারণ বাংলাদেশী সাংবাদিকতা এ চর্চায় খুব একটা অভ্যস্ত নয়। দু’একটি বাদে দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমই ক্ষমা চাওয়ায় বা ভুল স্বীকারে অনভ্যস্ত।  তবু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ আশা করছি।

বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই বলেন, ‘ওনারা (মানে দেশ বিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্রের সদস্যরা) সর্বত্র আছেন।’  তার এই বক্তব্যের কাঁধে বন্দুক রেখে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের যে কর্তারা আপন শত্রু খতমে বা ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে তৎপর রয়েছেন; তাদেরকে বলছি- একটু সাবধান হন। কোনো না কোনো গোয়েন্দা সংস্থা আপনাদের তালিকাও প্রস্তুত করছে নিশ্চয়ই। কারণ আত্মস্বার্থসিদ্ধির তরে কারা সরকারকে বিব্রত করে তা প্রধানমন্ত্রীও বোঝেন।

১০ আগস্ট ২০১৬

তারা গুজব রটিয়েছে না চিহ্নিত করেছে?

হে মহান রাষ্ট্র আমার, ধরার তামাম নাগরিক কবির মতো আমিও ‘বিশেষ’ ভয় পাই কাঠােমাকে আপনার। তবু ভীরু মন নিয়ে এটুকু অন্তত বলতে চাই, গত রাতে (৭ আগস্ট) আপনার ‘বিশেষ’ বাহিনী র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) দ্বারা আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম ‘বাংলামেইল২৪ডটকম’ গুজব রটিয়েছে না রটনাকারীকে চিহ্নিত করেছে তা দয়া করে পুনর্বিবেচনা করুন।

জানা মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের 'মিথ্যে মৃত্যুসংবাদ' প্রচারকারী ‌টুডেনিউজ৭১ডটকম’র সংশ্লিষ্ট খবরটি যে ‘ভিত্তিহীন, গুজব’ ছিলো - তা’ই জানিয়েছে বাংলামেইল। তাদের অবস্থা অনেকটা খুনীকে ধরিয়ে দিতে গিয়ে ফেঁসে যাওয়া বাংলা সিনেমার ট্র্যাজিক হিরোদের মতোই। শনিবার (৬ আগস্ট) প্রকাশিত টুডেনিউজ৭১.কম’র সংবাদ শিরোনাম ছিলো - ‘বিমান দূর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী পুত্র “জয়” নিহত’। আর রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে বাংলামেইল প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম ছিলো ‘বিমান দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়ের মৃত্যুর গুজব!’
বাংলামেইল'র প্রতিবেদনে ওই ভুয়া খবরের সমালোচনার পাশাপাশি এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেনের বক্তব্যও ছিলো। তিনি বলেছেন, 'যারা জীবিত জয়কে মেরে ফেলেছে, তারা জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের সংবাদে এটাই প্রমাণ হয়, এ চক্রটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে।' ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান ।
তথাপি গুজব রটনাকারী টুডেনিউজ৭১.কম’র কাউকে না ধরে র‌্যাব বাংলামেইল’র সাংবাদিকদের আটক করেছে। গুজব ছড়ানো গোষ্ঠীেকে ধরিয়ে দিতে গিয়ে কি বিপদেই না পড়েছে তারা! বাংলামেইল’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. সাহাদাত উল্যাহ খান, নির্বাহী সম্পাদক মাকসুদুল হায়দার চৌধুরী ও সহ-সম্পাদক প্রান্ত পলাশকে আটকের এ ঘটনায় আমি যারপরনাই উদ্বিগ্ন।

দেশ বিদেশের গণমাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদগুলো পড়ছিলাম। দেশের একটি পত্রিকাতেই দেখলাম বাংলামেইলের এক সাংবাদিক বলেছেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তারা তা করেননি। পরে রাত ১১টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা অফিসে এসে ওই তিন জনকে নিয়ে যায় এবং যে কম্পিউটারে বসে সংবাদটি লেখা হয়েছিল, সেটি জব্দ করে। যাওয়ার আগে সব সাংবাদিক-কর্মচারিকে বের করে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান দরজায় তালা ঝুলিয়ে যায় তারা।

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান দৈনিক সমকালকে বলেছেন, 'সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে একটি মিথ্যা খবর প্রকাশের অভিযোগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।' এর আগে র‌্যাব-০৩’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারওয়ার বিবিসি বাংলা’কে বলেছেন, 'অনলাইন নিউজ পোর্টালটিতে প্রকাশিত একটি খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের 'মিথ্যে মৃত্যুসংবাদ' প্রচার করা হয়েছে।'

অভিযান চালানোর পর পত্রিকাটির কার্যালয় 'আপাতত' বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে সারওয়ার বলেেছন, 'অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই সিদ্ধান্ত হবে তাদের গ্রেফতার করা হবে, নাকি ছেড়ে দেয়া হবে।' পত্রিকাটির ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদের পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত সপ্তাহে বাংলাদেশে সরকারের নির্দেশে ৩৫টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। যার মধ্যে বেশ কিছু ডানমনা সংবাদমাধ্যমও ছিলো। বাংলামেইল'র মালিক আজিম গ্রুপের কর্ণধার ফজলুল আজিম ওয়ান এলিভেনের সময় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত রাজনীতিক, সাবেক সংসদ সদস্য (হাতিয়া)। ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছিলো বাংলামেইল২৪ডটকম। জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেছিলেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক আসাদুজ্জামান সম্রাটের বদৌলতে শুরুর দিকে আমিও কিছুদিন জড়িত ছিলাম এ উদ্যোগের সাথে। শুধু সে জন্য নয়, বেসিকালি বাংলামেইলকে অন্তত পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয়নি কখনো। তাই আবার বলছি হে মহান রাষ্ট্র, ‘বাংলামেইল২৪ডটকম’ গুজব রটিয়েছে না রটনাকারীকে চিহ্নিত করেছে তা দয়া করে পুনর্বিবেচনা করুন। প্রকৃত অপরাধীকে ধরুন।

আর একটা একান্ত অনুরোধ; পারলে ‘প্রকৃত’ সাংবাদিকদের ব্যাপারে আরেকটু সংবেদনশীল হোন। ছদ্মদের অপকর্মের দায় যেন - এদের না নিতে হয়।

[গত ৮ আগস্ট ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলাম লেখাটি। সংরক্ষণের জন্য এখানে লিপিবদ্ধ করে রাখলাম।]